সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কোনও ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে এবার বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কুল বোর্ডগুলিকে এক ছাদের তলায় আনতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রক (Central Education Ministry)। সোমবার ছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এবং ‘পরখ’-এর যৌথ উদ্যাগে ৬০টি স্কুল বোর্ডের প্রথম জাতীয় কর্মশালা। মন্ত্রকের দাবি, জাতীয় কর্মশালার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার স্কুল বোর্ডের পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনকে আরও সুসংগঠিত করে তোলা হবে।
এদিন রাজধানী দিল্লির কর্মশালায় অংশ নেন জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রক, সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং (NIAS), ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং (NCVT), ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচারস’ এডুকেশন (NCT)-এর আধিকারিকেরা। এছাড়াও ছিলেন রাজ্য শিক্ষা সচিব, স্টেট কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (SCERT), স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টরস অব স্কুলস, এবং বিভিন্ন রাজ্যের বোর্ডের আধিকারিকেরা।
[আরও পড়ুন: মেয়ের মন বোঝে শুধু মা, বয়ঃসন্ধিকালে তাঁর কাছেই থাকবে সন্তান, পর্যবেক্ষণ আদালতের]
‘পরখ’ দেশের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের সার্বিক মান উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি হওয়া একটি সংগঠন। যা বিভিন্ন দিক থেকে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করে থাকে। জাতীয় কর্মশালার লক্ষ্য হল দেশের বিভিন্ন বোর্ডকে এক ছাদের তলায় এনে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনকে সুসংগঠিত করা। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মশালায় সাম্প্রতিক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ হয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হবে, পরীক্ষা পদ্ধতির কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে কিনা। এদিন স্কুল শিক্ষা সচিব সঞ্জয় কুমার বলেন, “পাঠ্যক্রমের মান, নম্বর দেওয়ার পদ্ধতি, মূল্যায়নের ধরনে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে স্কুল বোর্ডগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা হবে।”
[আরও পড়ুন: তরুণীর মৃত্যুর পর ফের মর্মান্তিক পরিণতি! বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির জমা জলে প্রাণ গেল যুবকের]
প্রসঙ্গত, মাঝে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(NCERT)-এর পরামর্শ মেনেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবই থেকে বাদ গিয়েছে মোগল সাম্রাজ্যের অধ্যায়। এইসঙ্গে আরও গ্রহণ-বর্জন নিয়ে দানা বেধেছিল বিতর্ক। বোর্ডগুলিকে এক ছাদের তলায় এনে কি আরও কড়া নজরদারি চালাতে চাইছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক? সেই প্রশ্নও উঠছে।