সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁদরের (Monkey) অত্যাচারে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক আট বছরের শিশুর। অভিযোগ, ছাদের টালি খুলে ওই শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় বাঁদরের দল। সেই সঙ্গে তারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল শিশুটির যমজ বোনকেও। তবে সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তঞ্জবুরে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় শিশু দু’টির মা ঘরে ছিলেন না। সেই সময় তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী গিয়েছিলেন কাজে। এই সময় হামলা চালায় ওই বাঁদরের দল। শৌচাগার থেকেই তিনি শুনতে পান তাদের চিৎকার। তড়িঘড়ি তিনি ছুটে যান ঘরের দিকে। ততক্ষণে ঘরে শিশু দু’টি ছিল না। আতঙ্কিত মহিলা এরপর চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশ থেকে প্রতিবেশীরাও ছুটে এসে শিশু দু’টিকে খুঁজতে থাকেন। এই সময়ই দেখা যায়, একটি শিশুকে কোলে নিয়ে ছাদে বসে রয়েছে একটি বাঁদর। তাকে তাড়া করলে শিশুটিকে সেখানেই ফেলে পালায় সেই বাঁদরটি।
[আরও পড়ুন: ইস্তফার দিন দীনেশকে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার অনুমতি কেন? চেয়ারম্যানকে চিঠি সুখেন্দুশেখরের]
কিন্তু খোঁজ মিলছিল না দ্বিতীয় শিশুটির। পরে তাকে একটি জলাশয়ে ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই সঙ্গে আতঙ্কেরও সঞ্চারও হতে থাকে। খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে আসেন পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে চার-পাঁচটি বাঁদর এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
হঠাৎ কেন এমন হিংস্র হয়ে উঠল বাঁদরগুলি? সেকথা ভেবে পাচ্ছেন না বন দপ্তরের কর্মীরা। তঞ্জবুরের ফরেস্ট রেঞ্জার জি জ্যোতিকুমারের মতে, এমন ঘটনা ‘বিরলের মধ্যেও বিরলতর’। তাঁর কথায়, ”পশুদের পক্ষে এভাবে টালি খুলে কারও ঘরে নামা, আর তারপর সেখান দিয়েই বেরিয়ে যাওয়াটা বেশ অস্বাভাবিক। তার চেয়েও বড় কথা, যে শিশুটি চিকিৎসাধীন এবং যে শিশুটি মারা গিয়েছে, তাদের কারও শরীরেই এমন চিহ্ন নেই যা থেকে বোঝা মুশকিল কোনও পশু তাদের ধরেছিল।”