সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালবৈশাখীর আমেজ এখন টিমটিম করে টিকে রয়েছে। বিকেলে বারিধারা ঝরছে ঠিকই। কিন্তু কচিৎ কদাচিৎ। ফলে লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে গরম। মাঝেমধ্যে বিকেলের দিকে স্বস্তির বৃষ্টি এলেও দিনভর গরমে নাকাল হতে হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। তবে এবার চাতকের দশা কাটতে চলেছে বাংলার। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। দেরি হলেও হতে পারে দশ দিন।
[ আন্দামানে প্রবেশ বর্ষার, সময়ের আগেই আগমনের সম্ভাবনা বাংলায় ]
কয়েকদিন আগেই মিলেছিল সুখবর। জানা গিয়েছিল আন্দামান উপকূলে এসে গিয়েছে বর্ষা। আর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুও নারাজ নয়। খুশি মনেই বর্ষাকে সে নিয়ে আসছে কেরলে। আজ দ্বিতীয় সুখবরটিও পাওয়া গেল। কেরল উপকূলে ঝেঁপে নেমেছে বৃষ্টি। মৌসম ভবন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। কথা ছিল, তিনদিন আগেই কেরলে বর্ষার আগমন হবে। হাওয়া অফিসের সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যে প্রমাণ করেনি বর্ষা। নির্দিষ্ট দিনের তিনদিন আগেই কেরল পৌঁছে গেল সে। সাধারণত ১ জুন দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা আসার পালা। কিন্তু গতকাল থেকেই কেরলকে ভেজাতে শুরু করেছে বৃষ্টি। গোটা দেশে এবার তার ছড়িয়ে পড়তে লাগবে মাত্র দেড় মাস।
[ নির্দিষ্ট সময়ের তিনদিন আগেই রাজ্যে ঢুকছে বর্ষা! কী বলছে মৌসম ভবন? ]
কেরলে বর্ষা আসা, বাংলার জন্যও সুখবর। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ফর্মে থাকলে এখানেও তিনদিন আগেই পদার্পণ করবে বর্ষা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবছর দেশজুড়ে স্বাভাবিক হারেই বৃষ্টিপাত হবে। ফলে তিলোত্তমাও যে ভালই ভিজবে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
আন্দামানে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে ঢুকেছিল বর্ষা। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, এর জন্য দায়ী জোড়া ঘূর্ণিঝড়, সাগর এবং মেকুনু। এই দুইয়ের জেরেই বর্ষার এ দেশে আগমনে তিন দিনের বিলম্ব ঘটে। ফলে কেরলেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আদতে দেখা গেল তা হল না। নিয়ম মেনেই দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল বর্ষা।
The post কেরলে এল বর্ষা, ৭ দিন পরেই রাজ্যে আগমনের সম্ভাবনা appeared first on Sangbad Pratidin.