সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢোকার জন্য তৈরি বর্ষা। এবছর যে স্বাভাবিকভাবেই তার আগমন হবে, তা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার জানা গেল, কেরলে বর্ষা ঢুকছে ২৯ মে। নির্দিষ্ট সময়ের তিনদিন আগে। সেই হিসেবে বাংলাতেও তিনদিন আগে আসার কথা বর্ষার।
শুক্রবার মৌসম ভবনের তরফে এমন সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, এবছর বৃষ্টি হবে স্বাভাবিক নিয়মেই। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। দেশের অর্থনীতির জন্য এই বৃষ্টিপাত যথেষ্ট উপকারি। এবার মৌসম ভবন জানাল, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্ষার সূচনা ঘটাতে পারে এই মাসের শেষেই। ২৯ মে। তবে ঠিক ওই দিনই যে বর্ষা কেরলে ঢুকবে, তার কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি হাওয়া অফিস। সাধারণ এই সব ক্ষেত্রে দিন চারেক আগুপিছু হয়ে থাকে। হয়তো ২৯ মে-র চারদিন আগে বা পরে আসতে পারে বর্ষা। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত হবে কলকাতার ঋতু পরিবর্তনও। কেরলে চারদিন আগে এলে কলকাতাতেও দিন চারেক আগেই আসবে বর্ষা।
[ প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের বিয়ের জন্য বিশেষ উপহার কিনলেন মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা ]
ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বৃষ্টির উপর ভরসা করেই চাষাবাদ করে থাকে। অন্য অনেক সেক্টরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে বৃষ্টি। ২০১৭ সালে বর্ষা এসেছিল ৩০ মে। সেই বছর গোটা উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের হার ছিল ৯৫ শতাংশ। মধ্যভারতেও বর্ষার প্রভাব ছিল ভালই। প্রায় ১০৬ শতাংশ। দক্ষিণে বৃষ্টি হয় প্রায় ৯২ শতাংশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ৮৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়।
এপ্রিলের গোড়ার দিকে মৌসম ভবন জানিয়েছিল, এবছর বর্ষা আসবে স্বাভাবিকভাবেই। গড়ে দেশে ৯৭ শতাংশ বৃষ্টিপাত হবে। সাধারণত আবহাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ এদিকওদিক হতে পারে। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এবছর বৃষ্টিপাত হবে প্রায় ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশ। ১ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকার কথা রয়েছে বর্ষার।
[ আসছে ওয়াশিং মেশিন, নয়া রূপে আত্মপ্রকাশ করবে মুম্বইয়ের শতাব্দী প্রাচীন ধোবিঘাট ]
প্রসঙ্গত, বর্ষার এখনই না এলেও মাঝেমধ্যেই বৃষ্টির দেখা মিলছে এরাজ্যেও। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গকে ভাসানোর পর শনিবার সকাল থেকে একই টার্গেট নিয়েছে নিম্নচাপ। তবে এখন দক্ষিণবঙ্গকে ছেড়ে হয়তো উত্তরবঙ্গের দিকে নজর দিয়েছে সে। সকাল থেকে আকাশ মেঘে ঢেকে রয়েছে ডুয়ার্সে। বৃষ্টিও চলছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সেবক রোড ধসপ্রবণ এলাকা হওয়ায় যাত্রীরা বিকল্প পথে যাতায়াত করছেন। গজলডোবা হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করছে মানুষ।