সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) জঙ্গিগোষ্ঠীর আমন্ত্রণে আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী কাবুলে গিয়েছিলেন আইএসআই (ISI) প্রধান জেনারেল ফইজ মহম্মদ। সেই সময় আফগানিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে তালিবানের অন্দরমহলে চলছিল নানা টানাপোড়েন। দ্রুত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ফইজ মহম্মদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আলোচনায় অংশ নিয়ে। এবার তাঁকে তালিবানের সরকার গঠনে সাহায্য করার ‘পুরস্কার’ দিল পাকিস্তান। পেশোয়ারের কর্পস কমান্ডার করা হল তাঁকে। এদিকে তাঁর জায়গায় নতুন আইএসআই প্রধান নাদিম অঞ্জুম।
ফইজ আহমেদকে এই নতুন পদ দেওয়ার বিষয়টিকে ‘প্রোমোশন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পেশোয়ারের দায়িত্ব পাওয়ার অর্থই হল পাক সেনাপ্রধান হওয়ার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আফগানিস্তানে ভাল কাজ করার কারণেই ফইজ মহম্মদকে ভবিষ্য়তের সেনাপ্রধান হিসেবে বেছে নিতে পারে পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন:তালিবান আছে তালিবানেই! সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৩ জন সদস্যকে খুন করল জেহাদিরা]
প্রসঙ্গত, নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবান সংসারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল। মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠী এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল তালিবানকে। এই পরিস্থিতিতে সেদেশে উপস্থিত হন ফইজ মহম্মদ। আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁর।
গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার গত শতকের নয়ের দশকে দু’বার আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে সেদেশের রাজনীতিতে এখনও গুরুত্ব হারাননি প্রবীণ নেতা। বিশেষ করে তালিবানের নয়া সরকারের বিষয়ে তাঁর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর ও পাক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের বৈঠকেই তালিবান সরকার গঠনের চূড়ান্ত ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয় বলেই ধারণা। এবং পাকিস্তানের অঙ্গুলিহেলনেই ঠিক হয় কারা বসবে সেদেশের মসনদে। এবার সেই ‘সাফল্যে’র ভাগীদার হয়ে পদোন্নতি হল ফইজ মহম্মদের।