সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বিমল গুরুং বনাম বিনয় তামাং – পাহাড়ে ফের মোর্চার (Morcha) এই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব শুরু। তবে এবার অধিকাংশটাই গুরুং-বিরোধী। মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং রবিবার নিয়ে শান্তিমিছিলের ডাক দিয়েছেন চকবাজারে। যাতে তিনি পাহাড়ে আবার ফিরতে না পারেন, সেই স্লোগান তুলে আজ দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করতে দেখা গেল একদল মোর্চা সমর্থককে। তাঁদের দাবি, পাহাড়ে যারা অশান্তি তৈরি করেছে, তারা যেন আর না ফেরে।
তিন বছর ফেরার থাকার পর চলতি সপ্তাহে পাহাড়ের একদা প্রতাপশালী নেতা, UAPA ধারায় অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের (Bimal Gurung) আচমকা ফিরে আসা বঙ্গ রাজনীতিতে একেবারেই অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা। গত বুধবার বিকেলে তাঁকে দেখা যায় সল্টলেকের গোর্খা ভবনে। তবে সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। এরপর কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেল থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বেশ কিছু গুরুত্বপূ্র্ণ বার্তা দেন বিমল গুরুং। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় থেকেও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। অকুণ্ঠ প্রশংসা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন বলে জানান।
[আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে রামনবমীর পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, উত্তেজনা দুর্গাপুরে]
ফলে একুশের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে ভিন্ন সমীকরণের ইঙ্গিত দেখছেন অনেকেই। গুরুংয়ের আচমকা প্রত্যাবর্তন নিয়ে সেদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিল মোর্চা নেতৃত্ব। সভাপতি বিনয় তামাং জানিয়েছিলেন যে তাঁরা এ বিষয় জানেন না, কোনও মন্তব্যও করবেন না। কিন্তু বিমল গুরুংয়ের ফিরে আসা মোর্চার অন্দরে একটা চোরা সংঘাত ফের উসকে দেবে, তা বোঝাই যাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: সঠিক তথ্য না থাকায় নভেম্বরের রেশন পাবে না রাজ্য, চিঠি দিয়ে জানাল কেন্দ্র]
রবিবার তা প্রকাশ্যে এল। বিনয় তামাংয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে দার্জিলিংয়ের চকবাজারে রবিবার শান্তিমিছিলে শামিল হলেন শয়ে শয়ে মোর্চা সমর্থক। মোর্চার পতাকা হাতে তুললেন গুরুং বিরোধী স্লোগান। তবে উলটো ছবিও দেখা গিয়েছে। কোথাও কোথাও গুরুংয়ের সমর্থনেও পোস্টার পড়েছে। সে যাই হোক, পাহাড়ে প্রবেশ করতে গেলে এবার যে বিমল গুরুংকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে, তেমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।