সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইথিওপিয়ার সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাইগ্রে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জেরে এমনিতেই উত্তেজনা রয়েছে। এর মাঝেই একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১০০ জন সাধারণ মানুষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইথিওপিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার সকালের দিকে দেশের পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত বেনিশানগুল-গুমুজ (Benishangul-Gumuz) প্রদেশের মেটাকেল (Metekel) এলাকার একটি গ্রামে আচমকা হামলা চালায় একদল বন্দুকবাজ। এর ফলে এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আর জখম হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি মানুষ। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: একটা ডিম ৩০ টাকা! খিদের জ্বালায় জ্বলছে পাকিস্তান, আরও চাপে ইমরান সরকার]
ইথিওপিয়া (Ethiopia)’র প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতরা সবাই দেশের প্রাচীন জনগোষ্ঠী আমহারা সম্প্রদায়ের মানুষ। বিগত কিছু মাস ধরেই তাঁদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা কমাতে শীর্ষস্থানীয় সেনাকর্তাদের নিয়ে বেনিশানগুল-গুমুজ প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদয। আর তার ঠিক একদিন পরেই ওই প্রদেশের মেটাকেল এলাকায় পাশবিক হত্যালীলা চালাল অজ্ঞাত পরিচয়ের বন্দুকবাজের দল। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনের তরফে এই ঘটনার দায় স্বীকার করা না হলেও তাইগ্রে বিদ্রোহীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সরকারি আধিকারিকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই ইথিওপিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ চলছে। গত কয়েক বছর ধরে সেই পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এর ফলে ২০১৯ সালে পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শান্তিতে নোবল পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। কিন্তু, বর্তমানে ইথিওপিয়ার অবস্থা তাঁর নোবেল প্রাপ্তির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।