সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত তথা গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে। ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশার মধ্যেই নতুন করে এই নতুন ধাঁচের ‘বিলিতি’ ভাইরাসে মাথায় হাত বিজ্ঞানীদের। আরও শক্তিশালী ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। যদিও বুধবার সকালে আশার আলো জাগিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে প্রত্যাশা মতোই সন্ধেয় রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যানেও দেখা গেল, আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম। বাংলায় মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাড়ালেও এর মধ্যে প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষই মারণ ভাইরাসকে জয় করেছেন।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় একদিনে করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৭৮ জন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা কমই। এর মধ্যে কলকাতায় সংক্রমিত ৩২৬ জন। মহানগরের পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সে জেলায় আক্রান্ত ৩২৫ জন। যদিও অন্যান্য জেলায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র নিচে। হাওড়া এবং হুগলি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৭৬ ও ৭৩ জন। বছর শেষে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় আবার উদ্বেগের আরেক কারণ। দার্জিলিংয়েই যেমন গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। সবমিলিয়ে বাংলার মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন। যদিও গত কয়েকদিন ধরেই কমছে অ্যাকটিভ কেস। এদিনও ব্যতিক্রম হল না। বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৮১ জনে।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষ ওদের উৎখাত করবে’, রাজ্যপালের অপসারণের দাবি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ বাবুলের]
স্বস্তি দিয়ে বাড়ছে বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যাও। একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৫৫৭ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮২৯ জন। সুস্থতার হার ৯৫.৯৯। তবে মারণ ভাইরাস এখনও প্রাণ কাড়ছে মানুষের। একদিনে ভাইরাসের বলি ২৮ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৩ জনের।
ভ্যাকসিন যতদিন পর্যন্ত হাতে না আসছে, ততদিন এই ভাইরাসকে রোখার একমাত্র পন্থা টেস্টিং। বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ হাজার ১১০ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে চিড়িয়াখানা থেকে পার্ক স্ট্রিট, সর্বত্রই ভিড় উপচে পড়েছিল। তাই এবার বর্ষবরণের রাতে ভিড় সামলাতে বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে লাল বাজার। পুজোর মতোই ভিড় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টও।