সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুমন্ত অবস্থায় জীবন্ত চাপা পড়লেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ! ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে পাপুয়া নিউ গিনিতে। জানা গিয়েছে, মুঙ্গালো পর্বতের খানিকটা অংশ ভেঙে পড়ায় ধস নামে একটি গ্রামে। পাহাড়ের তলায় চাপা পড়ে যান গ্রামবাসীদের অধিকাংশই।
পাপুয়া নিউ গিনির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে রাষ্ট্রসংঘকে চিঠি লিখে এই দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার পর্বতের একটা বিরাট অংশ ভেঙে পড়ে কাওকালাম গ্রামের উপর। সেখানকার সমস্ত বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। পাথরের নীচে চাপা পড়েছেন ২ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী। এমনকি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাথর চাপা পড়ে।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নিকেশ হামাস কমান্ডার! রাফায় মৃত অন্তত ৩৫]
এখানেই শেষ নয়। পর্বত ভেঙে ধস ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফলে ওই এলাকায় যেতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। ধসের নিচে চাপা পড়ে থাকা গ্রামবাসীদের মধ্যে কেউ বেঁচে থাকলেও তাঁদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের। এহেন পরিস্থিতিতে সেনা-সহ একাধিক বাহিনীকে উদ্ধারকাজে শামিল করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সুরাহা মিলছে না। তাই রাষ্ট্রসংঘের কাছে পাপুয়া নিউ গিনির আবেদন, আন্তর্জাতিক বন্ধুরা যেন এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভয়াবহ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানায় অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। কাওকালাম গ্রামটি পাপুয়া নিউগিনির (Papua New Guinea) রাজধানী পোর্ট মোরসবি থেকে ৬০০ কিমি উত্তরে অবস্থিত। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধস নামে ওই গ্রামে। তখন গোটা গ্রামের মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল। পরে এই সংখ্যা বাড়বে বলেই অনুমান প্রশাসনের।