সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ লক্ষেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে ভারতীয় রেলে (Indian Railways)। তার মধ্যে অধিকাংশই গ্রুপ সি ও গেজেটেড আধিকারিকের পদ। আরটিআইতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানাল ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, ৩৯টি জোনেই শূন্যপদের সংখ্যা অনেক বেশি। কর্মীর অভাবে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৪৩৮টি পদ ফাঁকা রয়েছে রেলের গ্রুপ সি-তে। গেজেটেড আধিকারিকের ১৮ হাজার ৮৮১টি পদ শূন্য রয়েছে। গ্রুপ সির মধ্যে ট্র্যাকপার্সন, পয়েন্টসম্যান, সিগনালিং কর্মী-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর রেলওয়ের এক আধিকারিক বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে গ্রুপ সি’র একাধিক পদ ফাঁকা রয়েছে। প্রতিদিনের রেল চলাচলের সময় প্রচণ্ড সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের।”
[আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে ধাক্কা তৃণমূলের, উপনির্বাচনে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস]
রেল পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রের মানসিকতাকেও দুষেছেন তিনি। আধিকারিকের মতে, “যেকোনও স্তরের আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। রেলের আধিকারিকের সংখ্যাও অনেক কম থাকার কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়। মানব সম্পদের অভাবে ব্যাহত হয় রেলের যাবতীয় পরিষেবা। কিন্তু স্থায়ীভাবে নিয়োগ করার কোনও পরিকল্পনাই নেই কেন্দ্রের। রেলের বেসরকারিকরণ নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে কেন্দ্র।”
শুধু আধিকারিক নয়, প্রতিদিনের রেল চলাচলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ট্রাফিকের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মচারী বলেন, “প্রত্যেকদিন ডবল শিফটে কাজ করতে হয়। ১৬ ঘণ্টা একটানা কাজ করি, মাঝে একটুও বিশ্রাম থাকে না। যেহেতু আর কোনও কর্মী নেই, তাই ছুটি নেওয়ারও কোনও উপায় নেই।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, এই বিষয়টি তাঁর মন্ত্রকের জানা আছে। স্থানীয় স্তরে যেন নিয়োগ করা হয়, সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে স্থায়ী নিয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যা কবে মিটবে, তা এখনও জানা নেই।