সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরমে পুড়ছে উত্তর ভারত (North India)। দাবদাহের প্রকোপে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও। তীব্র তাপপ্রবাহে (Heat Wave) উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), বিহারে (Bihar) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৮। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ৫০০। ওড়িশায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। ক্রমশ গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে মৃত্যুও।
তাপপ্রবাহে সবচেয়ে করুণ অবস্থা উত্তরপ্রদেশের। গত তিনদিনে সেরাজ্যের শুধু বালিয়ায় মারা গিয়েছেন ৫৪ জন। যার মধ্যে সরকারি হিসেবে ৪৪ জনের মৃ্ত্যুর কারণই গরম! যদিও দাবি, সকলেই মারা গিয়েছেন তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে। যোগীরাজ্যের বালিয়া (Balia) জেলার এক হাসপাতালেই ভরতি হয়েছেন ৪০০-র বেশি। যাঁরা প্রত্যেকেই তাপপ্রবাহের ফলে অসুস্থ হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: রবিবার কাকভোরে রক্তাক্ত দিল্লি, আততায়ীদের গুলিতে ছিন্নভিন্ন দুই যুবতী]
একই জেলায় কেন এত মানুষের মৃত্যু, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। যদিও বালিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, “চলতি মাসের ১৫, ১৬, ১৭ জুন মূলত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরাই ভরতি হয়েছেন হাসপাতালে। যাঁদের শরীরে উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, ডায়ারিয়া। এছাড়া একাধিক সমস্যাও নিয়ে আসছেন তাঁরা।” অতিরিক্ত গরমেই অসুস্থ হচ্ছেন ওই জেলার বাসিন্দারা, এমন দাবিও করেছেন ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক।
[আরও পড়ুন: ভারতের জেমস বন্ড! অস্ত্র নয়, স্রেফ মুখের কথায় থামান দাঙ্গা, গল্পকেও হার মানায় ডোভালের কীর্তি]
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ একদিনেই প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধু বালিয়ায়। যা আরও বাড়তে বলেও অনুমান করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, একদিকে প্রবল গরম অন্যদিকে বৃষ্টির দেখা নেই! ঠিক এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ডিহাইড্রেশনের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। যার ফলে ঘটেছে মৃত্যুও।
যদিও গরম বাড়তেই সজাগ হয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের সরকার। সাধারণ মানুষকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, তাপপ্রবাহে অসুস্থ হলে প্রাথমিকভাবে কী করবেন, সেই বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে সরকারের তরফে। এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে যোগী, নীতীশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ, আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়ে অসুস্থ বা মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেত!
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে উষ্ণতার পারদ ঘোরাফেরা করছে ৪২-৪৭ ডিগ্রির আশেপাশে। এর সঙ্গেই চলছে তাপপ্রবাহ। তবে দিল্লির মৌসম ভবনের দাবি, আগামী সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টির দেখা মিলবে দেশের সব রাজ্যেই। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।