সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কোন কোন দেশ আফগান প্রশাসক হিসেবে তালিবানকে মেনে নেবে। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই জেহাদিদের প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে এবার তালিবানকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে রাশিয়া (Russia)। ২০ অক্টোবর ওই বৈঠক হতে চলেছে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রুশ বিদেশমন্ত্রী জানান, তালিবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দিতে নারাজ রাশিয়া। কিন্তু এবার ফের তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে ইচ্ছুক মস্কো।
জামির কাবুলভ নামের ওই প্রতিনিধি অবশ্য সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। গত মার্চে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠক হয়েছিল মস্কোয়। বিষয় ছিল আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। সেখানে রাশিয়া আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমেরিকা, চিন, পাকিস্তানকে। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে তালিবান ও আফগান সেনাকে শান্তি চুক্তির দিকে এগনোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। আফগান মুলুক থেকে মার্কিন সেনা সরতে শুরু করার পর থেকেই ক্রমশ দেশের দখল নিতে থাকে তালিবান।
[আরও পড়ুন: এবার কাবুলের গুরুদ্বারে তালিবানি তাণ্ডব, ভাঙল দরজা-সিসিটিভি]
অবশেষে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে জেহাদিরা কাবুল দখল করে নিতেই আফগানিস্তান চলে যায় তাদের দখলে। তালিবানের ‘বন্ধু’ হিসেবে পাকিস্তানের নাম উঠে এসেছে। রাশিয়া কিংবা চিনও তালিবানের পাশে থাকতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা বলেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও রাশিয়া এর আগে জানিয়েছে, তারা এখনই তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে চায় না। এই পরিস্থিতিতে তালিবানকে বৈঠকে ডাকতে চলেছে রাশিয়া। যে বৈঠকের দিকে চোখ থাকবে বিশ্বের। শেষ পর্যন্ত তালিবানের বিষয়ে কী অবস্থান নেয় রাশিয়া, সেটাই দেখার।
এদিকে কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের মানবতা বিষয়ক সমন্বয় দপ্তর দাবি করেছিল, দ্রুত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে আফগানিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জেন্স লার্ক জেনেভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, লক্ষ লক্ষ আফগান নাগরিক বড় সমস্যার মুখে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার মুখে। এই পরিস্থিতিতে তালিবানের দখলে থাকা আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।