সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের তদন্তে এবার জোর কদমে নামল সেদেশের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদও (Mosad)। গত সপ্তাহেই তেল আভিভ (Tel Aviv) থেকে দিল্লি (Delhi) উড়ে এসেছেন বেশ কয়েকজন আধিকারিক। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) সঙ্গে যৌথভাবে তদন্তে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় ইরানের (Iran) হাত থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই NIA-এর কাছ থেকে এই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়েছে মোসাদ। এমনকী তদন্তে সাহায্যও করছে তাঁরা। ইতিমধ্যে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের তথ্যও জোগাড় করেছেন মোসাদের গোয়েন্দারা। তবে কোনও প্রত্যক্ষদর্শী এবং সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় অভিযুক্তকে ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে, ওই ঘটনার দিনই প্যারিসে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনেও একটি প্যাকেট পরে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগসাজশ নেই। এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ৫ কোটি পেলেই মোদিকে খুনে রাজি, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গ্রেপ্তার পুদুচেরির ব্যবসায়ী]
গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা। দূতাবাস থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জিন্দাল হাউসের সামনে আইইডি বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে ওই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। এরপরই এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরকটিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। অত্যন্ত প্রশিক্ষিত চর বা কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত না হলে এমন বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইজরায়েলের কূটনীতিকের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইরানের (Iran) হাত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে রীতিমতো কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল তেল আভিভ, নয়াদিল্লি ও তেহরানের মধ্যে। এখন দেখার এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়!