সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৩ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) কাছে দায়ের হয়েছিল রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি পুর প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকরা এবং তৃতীয় স্থানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককর্মীরা।
সিভিসি-র তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তাদের কাছে মোট ৭৪,২০৩টি জালিয়াতি সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৬৬,৩৭৩টির বিচার হয়েছে, বাকি আছে ৭,৮৩০টি। সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০,৪৪৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে। এর পরে রয়েছে ৭,৬৬৫টি অভিযোগ, যা রুজু হয়েছে জিএনসিটিডি অর্থার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি-র আওতাধীন এলাকা বাদে বাকি দিল্লির পুর কর্মী-আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ১৫-১৬ মাসেও ফেরেনি শান্তি, নীরব দর্শক কেন্দ্রীয় বাহিনী ! তোপ মণিপুরের বিজেপি বিধায়কের]
তালিকায় রয়েছে দিল্লি স্টেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড, দিল্লি জল বোর্ড, দিল্লি টুরিজম অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন, দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন, দিল্লি ট্রান্সকো লিমিটেড, দিল্লি আরবান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ড প্রভৃতি। রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের মধ্যে ৯,৮৮১টির বিচার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নিয়ে মমতাকে তোপ রিজিজুর, পুরনো চিঠি শেয়ার করে খোঁচা]
ঘটনাচক্রে গত দু-এক বছর রেলই ভারতের সবচেয়ে চর্চ্চিত মন্ত্রক। কারণ এই সময় একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। যার ফলে রেলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। রেলকর্মীদের এই বিপুল দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, রেলের এই ভূরি ভূরি দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি এই দুর্নীতিই?