রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সাংগঠনিক নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা না করে আগেই রাজ্য বিজেপিতে (BJP) বদল হোক। অমিতাভ ও তাঁর টিমকে সরিয়ে সংগঠন মজবুত করতে দলের আদিকর্মীদের মর্যাদা দেওয়া হোক। বাংলার বিজেপি সাংসদদের বড় অংশ এমনই আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে।
সূত্রের খবর, ‘অনভিজ্ঞ’দের নেতৃত্বে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে দল চলছে তার অবিলম্বে পরিবর্তন না হলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অশনি সংকেত দেখছেন এ রাজ্যে বিজেপির সাংসদদের মধ্যে অধিকাংশই। প্রকাশ্যে দলের ‘অপরিণত’ রাজ্য নেতৃত্বের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার টিম সুকান্ত-অমিতাভদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্ষুব্ধ সাংসদদের প্রায় সকলেই দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা ও দিল্লির শীর্ষনেতৃত্বের কাছে রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: SSC-তে ‘ভুয়ো’ নিয়োগ বাতিল করে নয়া নিযুক্তির প্রক্রিয়া শুরু রাজ্যে]
দিল্লি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে বাংলায় গত লোকসভা ভোটের সাফল্য ধরে রাখতে দলীয় সাংসদদের দাবি মেনে পুজোর আগেই রাজ্য কমিটি বদল হতে চলেছে। ক্ষুব্ধ সাংসদদের দলে প্রাক্তন সাংসদ তথা এক কেন্দ্রীয় নেতাও রয়েছেন। গত কয়েক মাসে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব, চরম গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত দল। তিতিবিরক্ত দিল্লি। লোকসভায় বঙ্গ বিজেপির ১৭ সাংসদের অনেকেই সুকান্ত-অমিতাভর প্রতি অনাস্থা আনেন। এই তালিকায় দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), শান্তনু ঠাকুর, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ-সহ আরও পাঁচ সাংসদ। তাঁরা ২০২৪-এ নিজের কেন্দ্রে জয় পেতে এখন থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে চাইছেন। কিন্তু দলের গোষ্ঠীকোন্দল যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে আগামী লোকসভা ভোটে ১৭ টি দূরের কথা, পাঁচটি আসনও হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দলের অন্দরেই।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে মামলা দায়েরের পরেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ, গাংনাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৬]
সূত্রের খবর, বাংলায় দলের সাংসদদের সিংহভাগই দ্রুত রাজ্য কমিটিতে বদল চাইছেন। নাড্ডাও বাংলায় দলের হাল নিয়ে অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে কথা বলেছেন। জুন বা জুলাই মাসে সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হতে পারে বিজেপির। নতুন কমিটি গঠনের পাশাপাশি মনোনীত রাজ্য সভাপতিও বদলের সম্ভবনা। ৪ থেকে ৬ মে শাহর সফরের দিকে তাকিয়ে সবাই।