ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ভুয়ো IAS কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। তবে ধৃত দেবাঞ্জনের ক্যাম্প থেকে যাঁরা করোনার টিকা (Corona Vaccine) নিয়েছিলেন তাঁরা মোটামুটি সুস্থই রয়েছেন। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তথ্য অনুযায়ী, জাল IAS দেবাঞ্জন দেবের ক্যাম্প থেকে টিকা পেয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৪৯২ জন।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সোনারপুর, কসবা ও সিটি কলেজের ক্যাম্প থেকে জাল টিকা প্রাপকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করা হয়। শিবির নিয়ে দিনভর উদ্বেগ ছিল স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের মধ্যেও। তবে সন্ধ্যাবেলা কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল। সোনারপুর ও সিটি কলেজের দুটি ক্যাম্প থেকে যাঁরা জাল টিকা নেন তাঁদের গুরুতর কোনোও শারীরিক সমস্যা পাননি চিকিৎসকরা। দুটি স্বাস্থ্য শিবিরের প্রাপ্ত রিপোর্ট নিয়ে সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক হয় স্বাস্থ্য ভবনে। হাজির ছিলেন ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ড থেকে শিক্ষা, রাজ্যে সরকারি অনুমতি ছাড়া করোনা টিকার ক্যাম্প নয়]
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, সিটি কলেজের ক্যাম্পে টিকা নিয়েছেন এমন ৭২জনকে ডাকা হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজে। এঁদের মধ্যে ৪৯জন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসেন। আবার এঁদের মধ্যে ৩৫জনের মৃদু শারীরিক সমস্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, খবর জানতে পারার পরে উদ্বেগ, ভয়, টিকার জায়গায় ব্যাথা, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া এমনকিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আবার এমন দুজন হাজির হন, যাঁদের টিকা নেওয়ার দুদিন পরে জ্বর আসে। সোনারপুরের বাসিন্দাদের তেমন কোনোও বড় সমস্যা নেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তী জানান, কসবা, সিটি কলেজ বা সোনারপুরের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এমন পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ভ্যাকসিনের মধ্যে যদি হামের ইঞ্জেকশন থাকে তবে অন্তত ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ফরেন্সিক থেকে তথ্য পেলে তবেই বাকি বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।