সম্যক খান, মেদিনীপুর: মেয়ের অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না মা। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পেলেন মা। মন্ত্রীর হাতে-পায়ে ধরে মেয়েকে বাঁচানোর আর্জি জানাল পরিবার। রবিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মেদিনীপুরের কলাগাঙের বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। তাতেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আরও একটা অস্ত্রোপচার করা হয়। তার পরেও রিঙ্কুদেবীর মেয়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। ফলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এদিকে রবিবার সকালে তাঁর মাকে বলা হয়, মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর পরই কান্নাকাটি পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যমের জন্যই বাড়ছে মেরুকরণ, অসহিষ্ণুতা! উদ্বেগ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের]
ঠিক সেই সময় এদিন হাসপাতালে আসেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। উল্লেখ্য, শনিবার ঝাড়গ্রামে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ৪ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। বাকি তিনজন গুরুতর জখম। আবার খড়গপুরে বাইক দুর্ঘটনা জখম হয়েছিলেন উপপ্রধান। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই রিঙ্কু রায়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তখনই মন্ত্রীর হাত-পা ধরে মেয়ের সুচিকিৎসার আর্জি জানান। বলেন, “মেয়েটাকে বাঁচিয়ে দিন।” পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে মেয়েটির সুচিকিৎসা হয়নি।
প্রথমে মন্ত্রী হতবাক হয়ে যান। পরে রোগীর অভিভাবককে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। পরে মন্ত্রী জানান, “আমি হাসপাতালে ঢুকে মেয়েটিকে দেখেছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসা যাতে ভালো করে হয় তা নিয়েও কথা হয়েছে। মায়েদের অসহায়তা বুঝি আমি।”