সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন ড্রোন হানায় নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলেমানির শেষযাত্রায় জনতার ঢল আহভাজের রাজপথে। রবিবার ইরানের আহভাজ শহরে লাখ লাখ মানুষ নেমে আসেন রাস্তায়। জনতার ভিড় থেকেই এদিন আমেরিকা বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হল আহভাজের আকাশ। মহরমের কায়দায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন বুক চাপড়ে স্লোগান দেন ‘আমেরিকা নিপাত যাক’। সেই শব্দব্রহ্মে কেঁপে ওঠে আকাশ-বাতাস। এর থেকেই প্রমাণিত সোলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতে বদ্ধপরিকর ইরান। আর সেই মতো এদিন পবিত্র জামকরন মসজিদে উড়েছে লাল ঝান্ডা।
সোলেমানির মৃত্যু আমেরিকা ও ইরানের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে উপসাগরীয় অঞ্চলে। যার আঁচ মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে পড়বে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এদিন সোলেমানির মরদেহ ইরানের আহভাজে পৌঁছতেই শোকমিছিল বেরোয় রাস্তায়। লাখ লাখ মানুষ ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের কাডস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার কাশেম সোলেমানির শেষযাত্রায় সামিল হন। ইরানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে বাগদাদ এয়ারপোর্টে মার্কিন বিমান হামলায় মৃত্যু হয় কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জনের। তারপরই আমেরিকার বিরুদ্ধে টুইটে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই লেখেন, “তাঁর অক্লান্ত চেষ্টার পুরস্কার স্বরূপ শহিদ হয়েছেন সোলেমানি। তাঁর দেখানো পথেই জেহাদ চলবে এবং এই ধর্মযুদ্ধে আমাদেরই জয় হবে। যারা সোলেমানির রক্তে হাত রাঙিয়েছে তাদের জন্য চরম প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।” ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফও সাফ বলেছেন, ‘এই হামলার পর পরিস্থিতির অবনতি হলে তার দায় নিতে হবে আমেরিকাকে।’
[আরও পড়ুন: পবিত্র মসজিদের উপর উড়ল লাল পতাকা, যুদ্ধ ঘোষণা ইরানের!]
উল্লেখ্য, খামেনেইয়ের পর ইরানের দ্বিতীয় সবচেয়ে ক্ষমতাবান নেতা ছিলেন এই সোলেমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য বজায় রাখতে অনেকটাই সফল ছিলেন সোলেমানি। এদিকে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে হামলার ছক ছিল ইরানের নিহত জেনারেল কাশেম সোলেমানির। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
The post ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, সোলেমানির শেষযাত্রায় বুক চাপড়ে চিৎকার ইরানের জনতার appeared first on Sangbad Pratidin.