সুমন করাতি, হুগলি: স্কুলে টিফিনের সময় চলন্ত ফ্যান ভেঙে পড়ল ছাত্রীদের মাথায়। ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ পড়ুয়া ভর্তি হাসপাতালে। হুগলির পান্ডুয়া রাধারাণী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা। তারা প্রত্যেকেই নবম শ্রেনির শিক্ষার্থী। আহত অবস্থায় তাদের তড়িঘড়ি পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের প্রত্যেকেই চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ স্কুলের টিফিনের সময় শ্রেণিকক্ষে বসেই টিফিন করছিল চার বান্ধবী। তখনই হঠাৎ ক্লাসে থাকা সিলিং ফ্যান চলন্ত অবস্থায় ভেঙে পড়ে তাদের মাথায়। আহত হন তারা। স্কুলের শিক্ষিকারা তাদের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে দুজন এবং পরে বাকি দুজনকেও চুঁচুড়া (Chinsurah) সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে পান্ডুয়া থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে বিক্রি! গ্রেপ্তার নকশালবাড়ির তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ]
ঘটনার পর স্কুল ভবনের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন আগে থেকে এই বিষয়ে নজর দেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ছাত্রীদের অভিভাবকরা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে বাকি পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষে অবশ্য গাফিলতির কথা মানতে নারাজ। দুর্ঘটনার আহত ছাত্রীদের চিকিৎসার খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে জানিয়েছেন, স্কুলের সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, "টিফিনের সময় ফ্যান ভেঙে ৪ ছাত্রী আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসার দায়িত্ব স্কুল নিয়েছে।" তবে অভিভাবকদের তোলা গাফিলতির দাবি নাসৎ করে তিনি বলেন, "স্কুলে প্রায় ৩০০টি ফ্যান রয়েছে। তা প্রতিদিন খেয়াল করা খুব মুশকিল। তবে দুর্ঘটনাটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। পড়ুয়াদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব স্কুলের।"