টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) কালনাগিনী”, রবিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের দলীয় কর্মসূচি থেকে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ‘লাল চোখ’ যদি ‘হলুদ’ করার মতো মনোবল থাকে, তবেই তৃণমূল করুন।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধুলিস্মাৎ করতে দলের কর্মীদের কোমর বেঁধে লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানান সাংসদ।
লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার সকালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, প্রাক্তন সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকেই বিজেপিকে একহাত নেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সমস্ত নেতা কর্মীদের ‘বাংলা বিদ্বেষী’ বলে তোপ দাগেন তিনি। দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ‘কালনাগিনী’ বলে আক্রমণ করেন সাংসদ।
[আরও পড়ুন: করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ‘সেফ হোম’ বেশ উপযোগী, বাংলার প্রশংসায় কেন্দ্র]
এরপরই সভা থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা-কর্মীদের বুঝিয়ে দেন যে, দলে থাকতে হলে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে পালটা দিতে প্রস্তুত থাকবে হবে। তিনি বলেন, “এ রাজ্য থেকে সিপিএমের মতো লাল সন্ত্রাস উপড়ে ফেলতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে লড়াই করেছেন সে বিষয়ে কিছু বলার নেই। এখন দিলীপবাবুরা ‘লাল চোখ’ দেখাচ্ছে। ওই ‘লাল চোখ’ এবার হলুদ করে ফেলতে হবে। সেই মনোবল নিয়েই লড়াই করতে হবে কর্মীদের। নাহলে দলে না থাকাই ভাল!” তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে দলকে চাঙা করতে সাংসদের এহেন মন্তব্য আদৌ কর্মীদের কতটা মনোবল বাড়াতে পারল, তা বলবে নির্বাচনের ফলাফল। এদিনের তৃণমূলের সাংসদের পালটা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। টুইট করে বলেছেন, “তৃণমূল নেতারা মানসিক সুস্থতা হারিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: বাঁশ-দা দিয়ে নৃশংস অত্যাচার, বাংলাদেশি পাচারকারীদের হামলায় জখম ৩ বিএসএফ জওয়ান]
The post ‘কালনাগিনী’ বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে আক্রমণ, ফের বেলাগাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on Sangbad Pratidin.