সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড মহামারি (Covid Pandemic) চলাকালীন ওষুধ, মেডিক্যাল সরঞ্জাম এবং সংশ্লিষ্ট সামগ্রী সংগ্রহের দরপত্র এবং বিল পরিশোধের বিষয়ে জানতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে (Right to Information Act) মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই উত্তর দিল সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর। চমকে দেওয়া ঘটনা হল, মামলাকারীকে ৪০ হাজার পাতার উত্তর দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। শেষ পর্যন্ত একটি এসইউভি গাড়ি বোঝাই করে বিশদ তথ্য বাড়িতে নিয়ে যান যুবক।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র শুক্লা তথ্যের অধিকার আইনে মামলা করেছিলেন। যদিও শুরুতে মৌখিকভাবে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। সরকারি দপ্তর উত্তর না দেওয়ায় আরটিআই করেন। ধর্মেন্দ্রর কথায়, “কোভিড মহামারি চলাকালীন ওষুধ, মেডিক্যাল সরঞ্জাম এবং সংশ্লিষ্ট সামগ্রী সংগ্রহের দরপত্র এবং বিল পরিশোধের বিষয়ে বিশদে জানতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে মামলা করেছিলাম আমি।”
[আরও পড়ুন: থাকবে ৯৫০ কক্ষ! ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাস তুলে ধরতে দিল্লিতে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর]
ধর্মেন্দ্র আর জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ড. শরদ গুপ্তার কাছে আবেদন করার পরে জানানো হয়, বিনামূল্যেই তাঁকে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হবে। নচেত প্রতি পাতার জন্য ২ টাকা করে দিতে হত আবেদনকারীকে। অর্থাৎ ৪০ হাজার পাতার তথ্যের জন্য ৮০ হাজার টাকা গুনতে হত। না, পকেট খসাতে হয়নি ধর্মেন্দ্রকে। তবে কিনা দপ্তরের দেওয়া ৪০ হাজার পাতা উত্তর সংগ্রহ করতে একটি এসইউভি লেগেছে। বড়সড় এক গাড়ি বোঝাই তথ্য পান ধর্মেন্দ্র। তিনি বলেন, “নথিপত্র আনতে আমি একটি এসইউভি নিয়ে গিয়েছিলাম। গোটা গাড়ি বোঝাই হয়ে গিয়েছিল। শুধু চালকের আসন খালি ছিল।”
[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে গণধর্ষণ! দুই অভিযুক্তর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বুলডোজারে]
স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক শরদ গুপ্তা বলেন, “সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিনামূল্যে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম।” আরও বলেন, “এর আগে সঠিক সময়ে তথ্য না দেওয়ায় সরকারি কোষাগারের ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছিল। যার পর সিএমএইচওকে দোষী কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলাম।” এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রাপ্ত ৪০ হাজার পাতাকে বাড়ির কোথায় নিয়ে তুলবেন ধর্মেন্দ্র। কতদিনেই বা তার পাঠ সম্পূর্ণ হবে। যার পর যে বিষয়ে মামলা, সেই তথ্য জানতে পারবেন।