সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) বিতর্কে এবার নিজের দেশেই বিরোধিতার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে খলিস্তানি কার্যকলাপের বিরোধিতা করতে চাননি প্রধানমন্ত্রী। এই অভিযোগ এনেছেন ট্রুডোর দলেরই এক ইন্দো-কানাডিয়ান সাংসদ। তাঁর মতে, খলিস্তানিরা আসলে কানাডায় (Canada) বসবাসকারী হিন্দু ও শিখদের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে চাইছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ ওই সাংসদের।
চন্দ্র আর্য নামে ওই ইন্দো-কানাডিয়ান রাজনীতিবিদ ট্রুডোর দলেরই সাংসদ। তবে নিজের দলের নেতার সমালোচনা করতে পিছপা হননি তিনি। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগেই এক খলিস্তানি নেতা হিন্দুদের কানাডা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তার পর থেকে আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কানাডার হিন্দুরা। তবে আমি সকলকে অনুরোধ করব তাঁরা যেন সতর্ক থাকেন। কোনও রকম হিন্দু বিরোধী কাজ চোখে পড়লেই তাঁরা যেন প্রশাসনকে জানান।”
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: পুজোর আগে যাত্রীদের জন্য সুখবর, সপ্তাহান্তে বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা]
তারপরেই নাম না করে প্রধানমন্ত্রীর তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইন্দও-কানাডিয়ান সাংসদ। তিনি বলেন, “কানাডার নিজস্ব নীতি ও মূল্যবোধ রয়েছে। আমরা সকলেই দেশের নিয়ম মেনে চলি। তবে আমি বুঝতে পারি না, বাকস্বাধীনতার যুক্তি দেখিয়ে কেন সন্ত্রাসবাদকে গৌরবান্বিত করা হয়? নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোকে কেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসাবে ধরে নেওয়া হয়?” চন্দ্র আরও বলেন, যদি শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসবাদী কানাডায় হামলা করে তাহলে দেশে ঝড় ওঠে। কিন্তু খলিস্তানিরা সবকিছু করেও পার পেয়ে যায়।
তবে ইন্দো-কানাডিয়ান সাংসদের মতে, কানাডায় শিখ ও হিন্দু দুই ধর্মের মানুষই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। কিন্তু সেই সৌভ্রাতৃত্বে চিড় ধরাতে চাইছে খলিস্তানিরা। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে কানাডার একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। প্রকাশ্য রাস্তায় ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদৃশ্যের ট্যাবলো বেরিয়েছিল। তারপরেও দেশের খলিস্তানিদের দাবিতে সায় দিয়ে জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে ভারতকে দায়ী করেছেন ট্রুডো।