রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চার কেন্দ্রে পরাজয়ের ধাক্কার পর বেসুরোর সংখ্যা বাড়ছে বিজেপির অন্দরে। সাংবাদিক বৈঠক করে হারের কারণ হিসাবে যখন সন্ত্রাসকে দাবি করেছেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যরা, তখন হারের পিছনে দলের নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটা, এই চার কেন্দ্রে হারের পর বিস্ফোরক দলেরই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দলের শীর্ষনেতৃত্বের দিকেই তাঁদের আক্রমণের তির। সৌমিত্রর বক্তব্য, দলের নেতৃত্বে কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। একজন নেতার সঙ্গে অন্যজনের মিল নেই। তার প্রতিফলন ঘটছে নিচুতলাতেও। বাংলা থেকে দলের চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। বিষ্ণুপুরের সাংসদের কথায়, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাস্তায় নামেন না। মানুষ কোনও আশা দেখতে পাচ্ছেন না।” এদিকে, রাজ্যের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রভাব যে নির্বাচনের ফলাফলেও পড়ছে তা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই সুভাষগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার জেএমবি জঙ্গি, উদ্ধার জাল পরিচয়পত্র]
লাগাতার দলে ভাঙন ও ভোটে বিপর্যয়ের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলকে তোপ দেগেছেন তথাগত রায়ও। টুইটে তিনি লিখেছেন, দল দালালদের জন্য কোল পেতে দিয়েছিল। গলবস্ত্র হয়ে তাঁদের এনেছিল। যারা আদর্শের জন্য বিজেপি করত, তাদের বলা হয়েছিল এত বছর ধরে কী করেছেন। আমরা আঠারোটা সিট এনেছি। এখন ভাঁড়ামো করলে হবে। আজকে বিজেপির শোচনীয় পরিস্থিতি এসবের জন্যই।”
আরেক বেসুরো রাজ্য নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপি তলিয়ে যাচ্ছে। ডুবে যাওয়া সিপিএমও দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। বিভেদের রাজনীতি ও প্রচার যতদিন না বন্ধ করবে দল ততদিন কিছু হবে না। বাংলার মানুষ প্রগতি উন্নয়ন চায়। বিভেদের প্রচার মানুষ বোঝে না।” দলের একটা বড় অংশেরও অবশ্য বক্তব্য, উপনির্বাচনের প্রচারে যে স্ট্র্যাটেজি বিজেপি নিয়েছিল তা মানুষ গ্রহণ করেনি। উপনির্বাচনের এই ফলাফলের পর বিজেপির অন্দরে বেসুরোরা আরও বেশি করে সরব।