অর্ণব দাস: কিছুদিন আগেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। রবিবার গোবরডাঙায় পিকনিক করলেন তিনি। সাফ জানালেন, বিক্ষুব্ধরা যখনই ডাকবেন, তখনই যাবেন বিজেপি সাংসদ।
জানা গিয়েছে, এদিন গোবরডাঙা পুরমণ্ডলের সভাপতির উদ্যোগে গোবরডাঙায় আয়োজন করা হয় পিকনিকের। সেখানে যান সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। জেলার বহু বিজেপি নেতা সেখানে ছিলেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শান্তনু। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে পিকনিক নিয়ে দলের কী বার্তা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হল তিনি সাফ বলেন, “যখনই বিক্ষুব্ধরা তাঁকে ডাকবেন তিনি যাবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘ভোটপ্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছেন নেতাজি’, বিজেপিকে তোপ হিন্দু মহাসভার]
এদিন ‘বিক্ষুব্ধ’ শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, এলাকার কর্মীদের উজ্জীবিত করতে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় পিকনিক করা হবে। অনেক কর্মী আক্রান্ত হয়ে সরে গিয়েছেন, অনেক কর্মী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে তাঁদেরকে উজ্জীবিত করতেই এই উদ্যোগ।
আগের দিনের পিকনিকে ছিলেন একাধিক রাজ্য বিজেপির নেতা। তবে এদিন তাঁদের দেখা যায়নি। সেই প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “আমি আগামীতে আবারও জয়প্রকাশ মজুমদারদের নিয়ে বৈঠক করব। রাজ্য বিজেপিতে যারা বঞ্চিত তাদেরকে নিয়ে বৈঠক হবে। সিএএ নিয়ে মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে আগামীতে।” উল্লেখ্য, গতবার বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানারকম আলোচনা চললেও দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সাফ জানিয়েছেন, দলের নেতারা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করতেই পারেন। পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এদিন শান্তনু ঠাকুরের কথাতেও উঠে এল সেই তথ্যই।