জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: CAA চালুর স্বপক্ষে বারবার সুর চড়িয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। কেন দেরি হচ্ছে, সে ব্যাপারে সামান্য ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন। তারই মাঝে এবার নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে বাগদার সভায় শেষমেশ অনুপস্থিত বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। তবে কী তিনি দলের উলটো পথে হাঁটছেন? বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে জল্পনা তুঙ্গে।
বুধবার নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বাগদা রামনগর প্রাইমারি স্কুলের মাঠে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের মতুয়া সেনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডঙ্কা বাজিয়ে নিশান হাতে হাজির হন শতাধিক মতুয়া ভক্ত। সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বাগদা বাজার পর্যন্ত অংশ নেন। সেখান থেকে সভার মাঠ পর্যন্ত মতুয়া ভক্তরা তাঁকে হেঁটে যেতে বলেছিলেন। তিনি ব্যাস্ত থাকায় যেতে পারেননি। শান্তুনু ঠাকুরের দাদা সংঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর মাঠে আসেন। কিন্তু সম্মেলনে যোগ না দিয়েই ফিরে যান। সভায় বিশৃঙ্খলাও হয়। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সহ সভাপতি স্বপন মজুমদার বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী মাঠে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। মাঠে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল না। তার ফলে ফিরে যেতে হয়েছে সুব্রত ঠাকুরকে।” বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী গোপা রায়। তিনি বলেন, “এসব বিজেপির চক্রান্ত। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। মতুয়াদের অনুষ্ঠানে বিজেপির পতাকা দেখে ফিরে গিয়েছেন সুব্রত ঠাকুর।”
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদানের পুরস্কার! শুভেন্দু অধিকারীকে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করল কেন্দ্র]
বাগদা বাজার পর্যন্ত যোগ দেওয়ার পরেও কেন সভায় অনুপস্থিত শান্তনু, ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। শান্তনুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির বনগাঁ জেলার সম্পাদক অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, “শান্তনু ঠাকুরের কলকাতায় জরুরি বৈঠক ছিল। তাই তিনি বাগদা বাজার পর্যন্ত আসার পর ফিরে যান।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বৈঠক থাকার কথা অজুহাত। আদতে দলীয় কোন্দলেই নাকি সভায় ছিলেন না শান্তনু। বিজেপির উলটো পথে হাঁটার জল্পনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ।