সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের অচলাবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে দায় ঠেলার খেলা। এতদিন সংসদ অচল করে দেওয়ার জন্য বিরোধীদের ভালরকম কথা শোনাচ্ছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী-সাংসদরা। এবার পালটা এল বিরোধী শিবির থেকেও। একযোগে ১৪টি বিরোধী দল বিবৃতি জারি করে দাবি করল, সরকারের ঔদ্ধত্য আর অনড় মানসিকতার জন্যই আজ সংসদে অচলাবস্থা। বিরোধীদের দাবি, সংসদকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায় সরকারের। অথচ, সরকার বিরোধীদের কোনও দাবিই মানছে না।
আসলে, চলতি বাদল অধিবেশন শুরুর দু’সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও সেভাবে কোনও কাজই হয়নি সংসদে। পেগাসাস (Pegasusu) ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্যসভা গত দু’সপ্তাহ ধরে তপ্ত হয়েই রয়েছে। একদিকে পেগাসাস ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে অনড় বিরোধীরা। অন্যদিকে, পেগাসাস কোনও ইস্যুই নয় বলে অনমনীয় মনোভাব সরকার পক্ষের। দুই শিবিরের টানাপোড়নে বিগত দু’সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই দফায় দফায় মুলতুবির সাক্ষী হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। সরকারপক্ষের দাবি বিরোধীরা সংসদ চলতে দিচ্ছে না। দিন কয়েক আগে কৌশলে কেন্দ্রের তরফে একটি পরিসংখ্যান ফাঁস করে দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সংসদের অধিবেশন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের করের ১৩৩ কোটি টাকা স্রেফ নষ্ট হয়েছে।
[আরও পড়ুন: লাগাতার বিক্ষোভের জের, রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড ৬ TMC সাংসদ]
সরকার এই অচলাবস্থার দায় এতদিন পুরোপুরি ফেলে দিয়েছিল বিরোধী শিবিরের উপর। কিন্তু এদিন ১৪টি বিরোধী দল একযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল। এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হল, ‘সরকার যেভাবে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের বদনাম করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। এই অচলাবস্থা কাটানোর দায় সরকারের। আর সরকার এখনও উদ্ধত। কিছুতেই বিরোধীদের কোনও দাবি মানতে চাইছে না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিন।’
[আরও পড়ুন: লোকসভায় Insurance Amendment Bill পাশ হওয়া নিয়ে বিতর্ক, দেশজুড়ে ধর্মঘট বিমাকর্মীদের]
এই যৌথ বিবৃতিতে কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা, তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien), কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-ছাড়াও আরজেডি (RJD), সমাজবাদী পার্টি, শিব সেনা, ডিএমকে, এনসিপি এবং বামদলগুলি সই করেছেন।