সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যদিও বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের কেউই মুখ খুলতে চাননি। তবে গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই বাগদানের ঘোষণা করবে দুই পরিবার। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকেই বিলাসবহুল বিয়ের সাক্ষী হতে চলেছে দেশবাসী। ভাবছেন পাত্র-পাত্রী কে? পাত্র হল, ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বড় ছেলে আকাশ। অন্যদিকে পাত্রী হলেন বিশ্বের বৃহত্তম হীরে সংস্থা রোজি ব্লু ডায়মন্ডের সর্বেসর্বা রাসেল মেহতার কন্যা শ্লোকা মেহতা।
মুকেশ ও রাসেল একে অপরকে বহুদিন ধরেই চেনেন। সেই সূত্রেই আকাশ ও শ্লোকার বন্ধুত্ব। দু’জনে একসঙ্গেই ধীরুভাই আম্বানি আন্তর্জাতিক স্কুলে পড়াশোনাও করেছেন। তবে আম্বানি গ্রুপের বিশেষ মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিয়ে এবং বাগদান পর্বের তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। যখন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, তখন আম্বানি পরিবার আনন্দের সঙ্গে সকলকে এই খুশির খবর শোনাবেন। তবে এও শোনা যাচ্ছে, যে আর্থিক দুর্নীতিতে পলাতক নীরব মোদির সঙ্গেও নাকি মেহতা পরিবারের লতায়-পাতায় সম্পর্ক রয়েছে।
অন্য এক সূত্রে আবার জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ মার্চই নাকি আকাশের বাগদান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিয়ের তারিখ নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী রাসেল মেহতার পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কেউই কিছু জানাতে চাননি।
[তান্ত্রিকের বিধান মেনে মদ্যপ স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুন, গ্রেপ্তার স্ত্রী]
মুকেশ ও নীতা আম্বানির প্রথম দুই সন্তান যমজ। তাঁরা হলেন আকাশ এবং ইশা। বর্তমানে বাবা মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও-র ব্যবসায় সঙ্গ দিচ্ছেন পুত্র আকাশ। অন্যদিকে ২০০৯ সালে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানথ্রোপোলজি পড়তে যান শ্লোকা। এরপর লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে আইনে মাস্টার্সও করেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে তিনিও নিজের বাবার ব্যবসায় যোগ দেন।
এখন দেখার বিশ্বের বিখ্যাত দুই ধনী পরিবারের মধ্যে আগামিদিনে যে যোগসূত্র তৈরি হতে চলেছে তার ঘোষণা করতে ঠিক কত সময় নেয় এই দুই পরিবার। যদিও অনেকেই বলছেন, এর মধ্যেই যদি বাগদান পর্ব হওয়ার কথা থাকে তবে তা ওই দুই পরিবার লুকিয়ে রাখতে পারবেন না। যে কোনওভাবেই সেই ঘটনা লোকের চোখে পড়তে বাধ্য।
[মেজর আদিত্যের নাম নেই এফআইআর-এ, সুপ্রিম কোর্টে জানাল মুফতি সরকার]
The post হীরে ব্যবসায়ীর মেয়ের প্রেমে পড়েছেন মুকেশ আম্বানির পুত্র, চলতি বছরই বিয়ে! appeared first on Sangbad Pratidin.