দেব গোস্বামী, বোলপুর: ২০১০ সালে বীরভূমের লাভপুরে একই পরিবারকে তিন ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সেই মামলায় মঙ্গলবার সশরীরে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন সাংসদ মুকুল রায় ও প্রাক্তন বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। গণহত্যার পর গ্রাম ছাড়া ছিল পরিবার। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে দীর্ঘ ১৩ বছর পর গ্রামে ফিরছেন ৬ পরিবারের ১৫০ জন সদস্য।
বীরভূমের লাভপুরের বুনিয়া ডাঙ্গালগ্রামে একই পরিবারের ৩ ভাই ধানু শেখ, কটুন শেখ, ঐসুদ্দিন শেখকে ডেকে ঘরের ভিতরে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন দাপুটে তৃণমূল ইসলামের বিরুদ্ধে। গণহত্যার পরেই লাভপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূল বিধায়ক হন মণিরুল। তার পর,মামলার জল গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত। পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সেই অভিশপ্ত ২৪ মে, আয়লা-আমফানের পর ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’! লন্ডভন্ড হবে বাংলা?]
পরিবারগুলিকে নিরাপত্তা দিতে ৬ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এদের মধ্যে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর যুবক ও ২ জন পুলিশকর্মী। সেই নির্দেশকে অমান্য করে পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এখন কোনও নিরাপত্তা কর্মী নেই বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্রায় ১৩ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছে পরিবার।
২০১০ সাল একই পরিবারের ৩ জনকে খুন করার অভিযোগ ওঠে মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ পরিবারকে গ্রামে ফেরাতে নির্দেশ দেন। হাই কোর্টের নির্দেশে ১৩ বছর পর ১৫০ জন সদস্য গ্রামে ফিরছেন। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি থাকায় হাজির হন প্রাক্তন সাংসদ মুকুল রায় ও লাভপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। তবে তিন ভাইয়ের খুন হওয়া পরিবারের দাবি, "এখনও ক্রমাগত সাক্ষী না দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্তরা। তবে আমরা শেষ দেখে ছাড়ব।" মুকুল রায় এতটাই অসুস্থ ছিলেন এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।