সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনন্ত-রাধিকার বিয়ে উপলক্ষে গত তিনদিনে গোটা বিশ্ব যেন নেমে এসেছিল মুম্বইয়ে। এহেন হাইপ্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠানেই এবার বোমা মারার হুমকি। সোশাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে এমনই এক হুমকি বার্তাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হল বাণিজ্য নগরীতে। হুমকি বার্তা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। পাশাপাশি যে ওই হুমকি দিয়েছে তার সন্ধানে নেমেছে মুম্বই পুলিশ।
আম্বানি পুত্রের বিয়ে ছিল গত শুক্রবার এবং রবিবার ছিল প্রীতিভোজ। খোদ নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে দেশ তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় ভিভিআইপি রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী সবাই আমন্ত্রিত ছিলেন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে। ১৩ জুলাই বিয়ের দিনেই এক্স হ্যান্ডেলে এক হুমকি বার্তা নজরে পড়ে পুলিশের। @FFSFIR নামের এক এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, 'আমার মাথায় এক অদ্ভুত ভাবনা আসছে। যদি আম্বানির বিয়েতে একটি বোমা মারা হয়, অর্ধেক পৃথিবী ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। কয়েকশো আরব ডলার শুধুমাত্র একটি পিনকোডের উপর দাঁড়িয়ে।' মহারাষ্ট্রের এক বরিষ্ঠ আধিকারিকের নজরে আসে এহেন বার্তা। বিষয়টি কেউ মজার ছলে লিখেছে বুঝতে পারলেও কোনও ঝুঁকি নেয়নি মুম্বই পুলিশ। ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তা।
[আরও পড়ুন: ১০০ মিলিয়ন পার! X হ্যান্ডেলে ফলোয়ার্সের নিরিখে বিশ্বসেরা মোদি, ধারেকাছে কেউ নেই]
এই ঘটনার পুলিশের তরফে কোনও এফআইআর দায়ের না করা হলেও ওই এক্স হ্যান্ডেল ব্যবহারকারীর খোঁজে নেমেছে মহারাষ্ট্র ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশের সূত্রে খবর, শুক্রবার এই পোস্ট করা হলেও শনিবার তা পুলিশের নজরে আসে। হাইপ্রোফাইল বিয়ে উপলক্ষে এমনিতেই সেখানে ছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তা। শনি ও রবিবার বিয়ের অনুষ্ঠানের বাকি দুই দিনে সেই নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: চাবি না পেয়ে ভাঙা হল রত্নভাণ্ডারের তালা, কী আছে পুরীর রহস্যময় রত্নকক্ষে?]
এদিকে শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই অনাহুত অতিথির আগমনে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়। বিয়ের দিন বিনা নিমন্ত্রণে নিরাপত্তা টপকে ঢোকার চেষ্টা করে দুই যবক। নিরাপত্তারক্ষীরাই প্রবেশদ্বারে ওই দুজনকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, একজনের নাম লকমন মহম্মদ শফি শেখ, বয়স ২৮ অন্যদিকে আরেকজন ভেঙ্কটেশ নরসাইয়া আলুরি, তাঁর বয়স ২৬। দুজন দুই আলাদা গেটে ধরা পড়ে। লকমন মহম্মদ পেশায় ব্যবসায়ী হলেও আরেকজন অন্ধ্রপ্রদেশের ইউটিউবার। জেরার মুখে তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছে, আম্বানিদের তারকাখচিত বিয়ের অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে চেয়েছিল সে। আর ইউটিউবারের কথায়, গোটা বিয়ের অনুষ্ঠানটাকে নিজের চ্যানেলে রেকর্ড করতে চেয়েছিলাম। শুক্রবার রাতে কৌতূহলের বশেই এমন কাণ্ড ঘটায় ওই দুই ব্যক্তি। রাত ১০.৪০ নাগাদ পুলিশে এফআইআর দায়ের হয় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে।