অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: খুনের আসামী হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। কিছুদিন আগে প্যারোলে (Parole) মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরে। কিন্তু তারপরই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। শনিবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই আসামীর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক অনুমান, আসামী গলায় ফাঁস (Hanging) লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বেলুড়ের (Belur)জয় বিবি রোডের ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
সুনীল কুমার সাউ ওরফে বাবলু। খুনের (Murder) ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে (Midnapore Jail) বন্দি ছিল স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল। জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে নিজের ভাইকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত সে। কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরার জন্য আবেদন করেছিল সুনীল। সেইমতো প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বেলুড়ের জয় বিবি রোডের বাড়িতে ফিরেছিল। রবিবার পর্যন্তই তার বাড়িতে থাকার সময়সীমা ছিল। কিন্তু এদিনই ঘটে গেল ঘটনা।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে প্লেটলেট শেষ কথা নয়, সাইটোকাইন ঝড়েই মৃত্যু! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
রবিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠেনি সুনীল। সকাল গড়িয়ে গেলে বাড়ির লোকজন ডাকেন। কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়নি। এরপর দরজা ভেঙে সদস্যরা দেখতে পান, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সুনীল। সঙ্গে সঙ্গে খবর পৌঁছয় বেলুড় থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কেন হঠাৎ আত্মহত্যা করল সে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এই আত্মহত্যা।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় খেলতে এসে বিপত্তি, সুন্দরী তন্বীর প্রেমে মজে প্রতারণার শিকার দিল্লির ক্রিকেটার]
শোনা গিয়েছে, এক মহিলাকে বিয়ে করেছিল সুনীল। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাবাসে ছিল সে। আর সেই কারণেই মানসিক অবসাদ তৈরি হয় তার। তা থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে পুলিশ। এদিন ঘটনার খবর পেয়েই জয়বিবি রোডে সুনীলের বাড়িতে ছুটে যান এলাকার প্রাক্তন তৃণমূলের কাউন্সিলর রিয়াজ আহমেদ। তিনি জানান, সুনীল মাঝে মাঝেই প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়ি আসত। এবার কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ।