সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: সাত বছরের শিশুকন্যাকে বাড়িতে রেখে মসজিদে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আচমকা অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃত্যু নাবালিকার। শুক্রবার সাতসকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিতলার মৌসুমারি এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রানিতলার মৌসুমারি এলাকার বাসিন্দা তামান্না খাতুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকত ৭ বছরের ওই নাবালিকা। সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোররাতে ঘুমোচ্ছিল তামান্না। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা মসজিদে যান নমাজ পড়তে। তখনই আচমকা কোনওভাবে আগুন লেগে যায় বাড়িতে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বাড়ি। এদিকে ঘরে ঘুমোচ্ছিল তামান্না। প্রতিবেশীরা টের পাওয়ামাত্রই ছুটে যান। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে শিশুটিকে উদ্ধার করতে ঘরে ঢুকতে পারছিলেন না কেউ।
[আরও পড়ুন: কীভাবে কপালে চোট মু্খ্যমন্ত্রীর? ‘ধাক্কা রহস্যে’র ব্যাখ্যা দিল তৃণমূল]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। তখনই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। ঝলসানো অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিবেশী সূত্রের খবর, পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে গোটা বাড়ি। প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কা। সরকারি সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছেন সকলে।