সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়ঃসন্ধি পেরলেই নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করতে পারে মুসলিম মহিলারা (Muslim Women)। শুধু তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিকশিত হতে হবে। এক্ষেত্রে সাবালক হওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। সম্প্রতি এমনই রায় দিয়েছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট। আদালতের দাবি, মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে সাবালক হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সুস্থ ও স্বাভাবিক মেয়েরা বয়ঃসন্ধি পেরলেই বিয়ে করতে পারে।
সম্প্রতি পাঞ্জাবের এক অসমবয়সী মুসলিম দম্পতি নিরাপত্তার দাবিতে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টের (Punjab and Haryana High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সী পুরুষ এবং তাঁর ১৭ বছরের নাবালিকা স্ত্রীর দাবি, পরিবারের অমতে ইসলামিক আইন (Muslim Personal Law) মেনে বিয়ে করেছেন তাঁরা। এই বিয়ে ওই নাবালিকা মেয়েটির মত নিয়েই হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর তাঁদের সম্পর্ক মানতে চাইছে না নাবালিকার পরিবার। তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী, মুসলিম কোনও নাবালিকা যদি মানসিকভাবে সুস্থ হয়, তাহলে তার অনুমতি ছাড়া কোথাও বিয়ে দেওয়া যায় না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলে পনেরোর বেশি বয়স হলেই কোনও নাবালিকা বয়ঃসন্ধি পেরিয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। যার সরলীকৃত অর্থ, ১৫ বছর বয়স পেরলেই নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করতে পারে মুসলিম নাবালিকারা।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার ৩২জনের দেহ, বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সফল সেনা]
কিছুদিন আগেই বম্বে হাই কোর্টের দুটি রায়ে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। একটি মামলায় বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চের এক বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, কোনও নাবালিকার হাত ধরা কিংবা প্যান্টের চেন খোলা পকসো আইনে যৌন নির্যাতন (Sexual crime) নয়। যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটির অর্থ হল, প্রত্যক্ষ শারীরিক সম্পর্ক অর্থাৎ যৌনাঙ্গ অনুপ্রবেশ ছাড়াই ‘স্কিন টু স্কিন’ সংস্পর্শ। আরও একটি মামলায় আদালত জানিয়েছিল, পোশাকের উপর দিয়ে নাবালিকার স্তনে হাত দিলে পকসো আইনের আওতায় তা যৌননিগ্রহ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। নাবালিকা সম্পর্কিত এই দুটি রায় নিয়ে যেভাবে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, আগামী দিনে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়েও তেমনই বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে।