নব্যেন্দু হাজরা: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে দাবি করে এবার দলের অস্বস্তি বাড়ালেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে গৃহবধূদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত সফল প্রকল্পের কথা। আচমকাই ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে দাবি করে বসেন, মুসলিম মহিলারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। যদি তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmi Bhandar) প্রকল্পে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সংখ্যালঘু হিসেবে তাঁদেরও সমপরিমাণ টাকা পাওয়া উচিত। হুমায়ুন কবীরের এই প্রস্তাবে কার্যত স্তব্ধবাক হয়ে যান অন্যান্য বিধায়ক, মন্ত্রীরা। এরপর তাঁকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের খুঁটিনাটি ফের বুঝিয়ে বলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। যদিও বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে সুর নরম করেন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) জিতে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরার পর প্রতিশ্রুতিমতো সমাজের সর্বস্তরের গৃহবধূদের আর্থিক সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চালু করেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে হাতে পান সাধারণ শ্রেণির গৃহবধূরা। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য দেওয়া হয় ১০০০ টাকা। এনিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় আলোচনার সময় হুমায়ুন কবীর একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি করেন, মুসলিম মহিলাদেরও হাজার টাকা পাওয়া উচিত। যদিও বাইরে তাঁর অন্য সুর। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন তিনি। বললেন, স্বয়ং মা লক্ষ্মীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে এসেছেন ঘরে ঘরে। ততক্ষণে অবশ্য অধিবেশনে তাঁর ওই প্রস্তাব নিয়ে দল বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন।
[আরও পড়ুন: ৩১ জুলাই রাজ্যের সব বিজেপি সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, ডাক জিএনএলএফকেও]
পরে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, ”উনি হয়ত নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে একথা বলছেন। তবে আমি বুঝিয়ে বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এমন করেই পরিকল্পনা করা যা শুধুমাত্র সাধারণ শ্রেণি ও তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য। কোনও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও টাকার অঙ্ক একেবারেই ঠিক হয়নি। তা মুসলিম নারীদেরও বোঝাতে হবে।”