সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিমদের মধ্যেই অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি। ধর্ষণ থেকে লুঠ, ডাকাতি- সব ক্ষেত্রেই শীর্ষে মুসলিমরাই। অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (AIUDF) প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের এহেন মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক।
সম্প্রতি এক জনসভায় AIUDF প্রধান বলে দেন, “আমরা (মুসলিমরা) সব ধরনের অপরাধমূলক কাজে এক নম্বরে আছি। চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুঠ- সবকিছুতেই। সবচেয়ে বেশি জেলেও যাই আমরাই।” নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেই সুর চড়ানোয় ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে বদরুদ্দিনকে। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে নড়েননি তিনি। বরং অসমের এই নেতা উলটে সাফ বলে দেন, তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বিষয়টি প্রমাণ করে দিতে পারেন। মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার হার কম হওয়াতেই অপরাধের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
[আরও পড়ুন: আবারও ভোটের ময়দানে আজহার, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে প্রার্থী করল কংগ্রেস]
বদরুদ্দিনের কথায়, “বিশ্বজুড়েই মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার হার কম। আমাদের ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করে না। উচ্চস্তরের পড়াশোনা তো দূর অস্ত, মাধ্যমিকও পাশ করে না। শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কথাই যুবপ্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।”
তরুণদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “যে সব ছেলেরা বলে, মহিলাদের দেখলেই তাদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়, তাদের জানাই যে ইসলামে বলা হয়েছে, মহিলাদের প্রতি ঠিক কেমন ব্যবহার করা উচিত। রাস্তাঘাটে কিংবা বাজারে কোনও মহিলাকে দেখলে চোখ ঘুরিয়ে নিন। মনে রাখা উচিত, তাঁদেরও পরিবার আছে। এই তরুণরা যদি নিজেদের মা-বোনের কথা মনে করে, তাহলে এমন মনোবৃত্তি কখনওই হবে না।” বদরুদ্দিনের দাবি, অনেক সময়ই সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য প্রশাসনকে দায়ি করা হয়। কিন্তু আদতে তা শিক্ষার অভাবেই বেড়ে চলেছে।