সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ নয়, প্রতিবাদ দেখাতেই পথে নেমেছিল ওয়াগনার বাহিনী। সোমবার নিজের গোপন ডেরা থেকে এক অডিও বার্তায় এমনটাই দাবি করেছেন রুশ ‘ওলিগার্ক’ ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে গত শনিবার আচমকাই মস্কোর দিকে রওনা দেয় ওয়াগনার যোদ্ধারা। বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, “আমাদের পথে যে আসবে ধ্বংস হয়ে যাবে।” তবে, পুতিনের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরেই রণে ভঙ্গ দেন তিনি। সোমবার এক অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।” তবে রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাঘাত করতে অডিও বার্তায় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, শান্তির বার্তা দিলেও তিনি কোথায় আছেন তা জানাননি প্রিগোজিন। পুতিন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কী চুক্তি হয়েছে সেই বিষয়েও খোলসা করে কিছুই বলেননি ওয়াগনার প্রধান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, রক্তপাত এড়ানোর জন্য ওয়াগনার যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চাইলে রুশ সেনায় শামিল হতে পারে ওয়াগনাররা বলেও জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। শুধু তাই নয়, সিরিয়া, মালি-সহ অন্যান্য দেশে ওয়াগনার আগের মতোই কাজ করবে।
[আরও পড়ুন: মারকুটে মহিলাদের সামনে অসহায় সেনা! মণিপুরে দাঙ্গাবাজদের ঢাল প্রমীলা বাহিনী]
উল্লেখ্য, ওয়াগনার বিদ্রোহে পুতিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। প্রিগোজিন কী করবেন সেদিকে চোখ ওয়াকিবহাল মহলের। তবে আপাতত বলাই যায়, প্রিগোজিন তাঁর বাহিনীকে রোস্তভ-অন-ডন থেকে সরিয়ে বেলারুশে (Belarush) নিয়ে যাচ্ছেন। প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করেছিল পুতিন সরকার। তবে পরে তা তুলে নেওয়া হয় বলে খবর। সেই ‘ডিল’ মেনেই পিছু হটতে রাজি হন ২৫ হাজার ভাড়াটে সেনার প্রধান। পরে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ জানিয়ে দেন, তাঁরাও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করবেন না।