সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই একাধিকবার লড়াইয়ের ময়দানে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে গোলাবর্ষণ প্রায় রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এহেন সময়ে দুই প্রতিবেশী দেশের উদ্দেশে শান্তির বার্তা দিলেন মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousfzai)।
[আরও পড়ুন: নতুন ইনিংস প্রশান্ত কিশোরের, বাংলার পর এবার পাঞ্জাবের দায়িত্বে ভোটকুশলী]
রবিবার জয়পুর সাহিত্য উৎসবে ভারচুয়ালি যোগ দেন নোবেলজয়ী শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা। সেখানে তিনি বলেন, “আপনি ভারতীয়, আমি পাকিস্তানি। এবং আমরা আমাদের মতো ভাল আছি। তাহলে এত বিদ্বেষ কেন? সীমান্ত, বিভাজন এবং বিভাজনের মাধ্যমে আলাদা করে জয় করা- এসব পুরনো দর্শন এখন আর কাজ করে না। মানুষ হিসেবে আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে চাই। ভারত ও পাকিস্তানের আসল শত্রু হল–দারিদ্র, বৈষম্য ও অসাম্য। নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে দুই দেশের উচিত এই শত্রুগুলির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইয়ে নামা। আমি চাই ভারত ও পাকিস্তানকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। ” এদিন, সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়েও সরব হন মালালা। ইসলামাবাদকে অস্বস্তিতে ফেলে তাঁর বক্তব্য, “পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুরা বিপন্ন। একইভাবে ভারতে মুসলিম ও দলিতরা ভারতে সুরক্ষিত নন।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করেছিল এক সন্ত্রাসবাদী। সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। তখন মালালা ছিলেন স্কুলছাত্রী। তারপর থেকে জল অনেকটাই গড়িয়েছে। মহিলাদের শিক্ষার অধিকার থেকে শুরু করে বৈষম্য ও সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। তবে, এর ফলে এখনও জেহাদিদের বিষ নজরে রয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই মালালাকে খুন করার হুমকি দিয়েছে ‘তহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’-এর প্রাক্তন মুখপাত্র এহসান। আবারও মালালাকে গুলি করার সুযোগ পেলে সে লক্ষ্যভেদ করবে বলে হুমকি দেয়। এহেন ভয়ংকর হুমকির পরে ওই জঙ্গির অ্যাকাউন্ট চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে একহাত নেন মালালা।