সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) সেনাশাসনের বিরুদ্ধে তুঙ্গে বিক্ষোভ। সেই উত্তাপ এবার ছড়াল বিদেশের মাটিতে। অভিযোগ, লন্ডনে মায়ানমারের দূতাবাস দখল করেছে সামরিক জুন্টার সমর্থক বার্মিজ কূটনীতিবিদরা।রীতিমতো গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে।
[আরও পড়ুন: মহিলা হওয়ায় চেয়ার পেলেন না ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি! তুঙ্গে বিতর্ক]
বুধবার মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ক্যাও জয়ার মিন বলেন, “লন্ডনের দূতাবাসে কার্যত সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। জুন্টার সমর্থক কূটনীতিবিদরা ভবনটির দখল নিয়েছে। সেখান থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই আধিকারিকদের বক্তব্য, সরাসরি সরকারের থেকে এই নির্দেশ এসেছে। এই সমস্যার সমাধানে আমি ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।” উল্লেখ্য, মায়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে নেত্রী আং সান সু কি’র মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত মিন। তারপর থেকেই সেনার বিষনজরে পড়েন তিনি। তার জায়গায় চিট কিন নামের অন্য এক জুন্টাপন্থী কূটনীতিবিদকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করতে চাইছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে লন্ডনের কূটনৈতিক মহলে।
উল্লেখ, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। পালটা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এপর্যন্ত ফৌজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০০জন গণতন্ত্রকামী। এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।বিশেষ করে গত শনিবারের পর থেকেই। ওই দিন শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছিল জুন্টা। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে। মায়ানমারের সংসদের নির্বাসিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি সেনা-বিরোধী গোষ্ঠীও এই গেরিলা বাহিনীগুলির সাহায্য নিতে প্রস্তুত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেরিলা জনজাতিদের গ্রামে আকাশপথে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে জুন্টাকে।