সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। সংবাদমাধ্যমের উপর নেমে আসছে খাঁড়া। দেশটিতে চলছে তুমুল গৃহযুদ্ধ। এহেন টালমাটাল পরিস্থিতিতে ৫ হাজার গণতন্ত্রকামীকে মুক্তি দিতে চলেছে জুন্টা।
[আরও পড়ুন: নজরে চিনের কার্যকলাপ, তাইওয়ান প্রণালীতে টহলদারি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের]
সোমবার মায়ানমারের সেনা প্রশাসনের প্রধান মিন আউং হ্লাইং বন্দিমুক্তির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে ৫ হাজার ৬৩৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এই গণতন্ত্রকামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ‘থাডিঙইয়ুত উৎসব’ উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুন্টা প্রধান হ্লাইং। তবে মুক্তি পেতে চলা বন্দিদের তালিকায় কাদের নাম রয়েছে এবং কীভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আচমকা নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মায়ানমারের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয় সেনাবাহিনী। কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ গণতান্ত্রিক সরকারের অন্য প্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর সেদেশে আগুন জ্বলে ওঠে। গণতান্ত্রিক প্রথা ফেরানোর দাবিতে পথে নামে লক্ষ লক্ষ মানুষ। পালটা, বিক্ষোভ থামাতে চরম নির্যাতন চালায় সরকারি সেনাবাহিনী। সবমিলিয়ে এপর্যন্ত সেদেশে হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্তত হাজার আটেক। এহেন সময়ে জুন্টার তরফে বন্দিমুক্তির ঘোষণা কিছুটা হলেও আশার আলো জাগিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ঘরে ও বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়েছে সেনাশাসকরা। বার্মিজ সেনার আধিকারিকদের উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, দেশের অন্দরে জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকাগুলিতে বার্মিজ ফৌজের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহী বাহিনীর। ফলে, অনেকটাই চাপে পড়েছে জুন্টা। তাই আপাতত উৎসবের অছিলায় বন্দিদের মুক্তি দিয়ে কিছুটা হলেও জনতার আক্রোশ প্রশমিত করার চেষ্টা করছে সেনাশাসকরা।