শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কাজে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যে ব্যাংক (Bank) কর্মীর রহস্যমৃত্যু। ব্যাংকেই থাকতেন ওই যুবক। বুধবার সকালে ব্যাংক থেকে তাঁর পরিজনদের অসুস্থতার খবর জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে প্রাণহানি ব্যাংক কর্মীর। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির মরোঙ্গা এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কীভাবে ওই ব্যাংক কর্মীর মৃত্যু হল, সে কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহত বছর উনিশের লিটন সেন, জলপাইগুড়ির সেন পাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের মরোঙ্গা চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় সোমবার একটি ব্যাংকে কাজে যোগদান করেন তিনি। বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূর ব্যাংক। তাই ব্যাংকেই লিটনের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। মঙ্গলবার কাজ শেষে ব্যাংকের মধ্যেই খাবার খেয়ে নেন লিটন। রাতের খাবার সেরে পরিজনদের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় ব্যাংক কর্মীর। ঘুমিয়ে পড়বেন বলেই জানান লিটন। বুধবার সকাল থেকে আর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি লিটনের বাবা।
[আরও পড়ুন: দু’দিন বাদে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ২ লক্ষ ৮৩ হাজার]
লিটনের বাবা জানান, বুধবার সকালে ব্যাংকের তরফে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয়, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লিটনকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাতটা হবে। এরপর তাঁর পরিজনেরা ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে পৌঁছন। ততক্ষণে সব শেষ। মৃত্যু হয়েছে লিটনের।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, লিটনকে কেউ খুন করেছে। ব্যাংকের সহকর্মীদের নাম না করলেও, তাঁদেরই ইঙ্গিত করেছে লিটনের পরিবার। তাঁদের দাবি, “লিটন খুবই ভাল ছেলে। তার কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। তাহলে এত তাড়াতাড়ি কীভাবে মৃত্যু হল? নিশ্চয়ই খুন করা হয়েছে লিটনকে।” শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।