অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি এলাকায় যুবককের রহস্যমৃত্যু! বাড়ির পাশে নির্মীয়মাণ বাড়ির শৌচাগারের চেম্বার থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য এলাকায়। শনিবার রাতে বাড়ির কাজ দেখতে গিয়ে যুবকের দেহ দেখতে পান বাড়ির মালিক। কীভাবে ওই চেম্বারে যুবকের মৃতদেহ আসল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই যুবক রাতে বাড়ি থেকে বেরোনোর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মৃত্যু সংবাদ পায় পরিবার। খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তদন্তে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম মণিরুল ইসলাম রনি(২৩)। তিনি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কাঁটাদাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়ির পাশেই বাড়ি তৈরি করছেন প্রতিবেশী তুজাম্মেল শেখ। জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ বাড়ির চেম্বারটি সিঁড়ির তলায়। তার আগে সরু গলিপথ। তাছাড়া সেন্টারিংয়ের বাঁশের খুঁটিতে গলিপথ পরিপূর্ণ। প্রশ্ন উঠছে এলাকায় ভালো ছেলে বলে পরিচিত মণিরুল ওই রাস্তা দিয়ে অন্ধকারের মধ্যে একা একা যাবেন কেন?
[আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পে টাকা না দিয়ে কর্মীকে পিষে পালল গাড়ি, চালকের খোঁজে পুলিশ]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই যুবক বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে টর্চ হাতে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর তার ঘণ্টাখানেক পরেই বাড়িতে খবর যায় মণিরুল মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে নির্মীয়মাণ বাড়ির শৌচাগারের চেম্বারে।
প্রথম দেহটি কে দেখেন? পুলিশ সূত্রে খবর, সেই রাতেই তুজাম্মেল সেখ ও তাঁর স্ত্রী নির্মীয়মান বাড়ির কাজ দেখতে ওই মৃতদেহ দেখতে পান। তা দেখতে গিয়েই দেখেন সিঁড়ির নিচে চেম্বারে টর্চলাইটের আলো জ্বলছে। এগিয়ে যেতেই মানুষের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই মণিরুলের বাড়িতে খবর দেন। খবর যায় পুলিশে। যুবকের দেহ উদ্ধার করে সাদিখাঁরদিয়াড় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক যুবকের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
দেহ উদ্ধারের পরই খুন না দুর্ঘটনা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মৃতের বাবা গোলাম শেখের সরাসরি অভিযোগ, "আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। না হলে ওই চেম্বারের কাছে যাবে কেন?" মৃতের কাকা শ্বশুর রাসেদুল ইসলাম জানান, "মণিরুল ভালো ছেলে। সে কারণেই আমরা পাড়াতেই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলাম। হঠাৎ কি করে কি হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।" মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা। ঘটনার দ্রুত কিনারার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।