সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরীয় উপদ্বীপে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ! দক্ষিণ কোরিয়ার নৌঘাঁটিতে মার্কিন পরমাণু সাবমেরিন আসতেই পরপর দু’টি মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়ার ফৌজ। এই ঘটনায় রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাপানও।
রয়টার্স সুত্রে খবর, সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের নৌসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছয় মার্কিন পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ ‘ইউএসএস অ্যানাপোলিস’। তার কয়েকঘণ্টা পরেই রাতে দু’টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়ার ফৌজ। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি সেনাঘাঁটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে কিমের সেনা। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দুরে সমুদ্রে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছে আছড়ে পড়ে মিসাইল দু’টি।
[আরও পড়ুন: লাভ বাড়াতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলাই কাল! ইন্দোনেশিয়ার নৌকাডুবিতে মৃত অন্তত ১৫]
উত্তর কোরিয়া আর রহস্য যেন সমার্থক! কখন কী ভেলকি দেখাবেন একনায়ক কিম জং উন, তা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দারা সবসময় উদ্বিগ্ন। কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, গোপনে নতুন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরি করে ফেলেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। অত্যাধুনিক হোয়াসাং-১৮ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই প্রেক্ষাপটে ফের জোড়া মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের বিপুল সম্ভার গড়ে তুলেছে উত্তর কোরিয়া। আমেরিকার মূল ভূখন্ডে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি, এমনও শোনা যায়। এহেন সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেছিল জাপানও। আমেরিকাকে নিশানা করে আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৭’ তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে হোয়াসাং-১৮। এর আগে ৬,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘হোয়াসং-১২’-র সাহায্যে কিমের দেশের উত্তর প্রান্ত থেকে আমেরিকার আলাস্কা এবং এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে হানাদারি চালানো সম্ভব ছিল। নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে জো বাইডেনের দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তর কোরিয়ার নিশানায় চলে এসেছে বলে দাবি।