সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটের বহু ক্ষতি করে দিয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর (Shashank Manohar)। আইসিসি চেয়ারম্যান থাকাকালীন একাধিক ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন আইসিসির (ICC) কঠিন সময়ে গদি ছেড়ে পালাচ্ছেন। একসময়ের সহকর্মীর ইস্তফার খবর পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন (N Srinivasan)। শশাঙ্ক মনোহরের ইস্তফার পর নিজের যাবতীয় জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্রীনি।
শশাঙ্ক মনোহর ২০১৫ সালে জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হন। তারপর ভারতীয় বোর্ডই তাঁকে আইসিসিতে পাঠায়। দু’বার ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। কিন্তু এবারে সৌরভের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই (BCCI) যে তাঁকে সমর্থন করবে না, তা আগেভাগেই বুঝে গিয়েছেন পেশায় আইনজীবী এই ক্রিকেট প্রশাসক। সম্ভবত সেকারণেই মেয়াদ ফুরনোর কয়েকদিন আগে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শশাঙ্কের এই চার বছরের কার্যকালে সে অর্থে আইসিসিতে ভারত বাড়তি কোনও সুবিধা পায়নি। উলটে বিসিসিআইয়ের গুরুত্ব কমে গিয়েছে। আইসিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থে বিসিসিআইয়ের অংশও কমেছে। খর্ব করা হয়েছে ভারতীয় বোর্ডের ক্ষমতাও। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি শ্রীনিবাসন।
[আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভয়! কেন্দ্র নির্দেশ না দিলে চিনা স্পনসর বাতিলে ‘নারাজ’ বিসিসিআই]
তিনি বলছেন,”ওর পদত্যাগ ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য স্বস্তির খবর। ও জানেই না কীভাবে লড়াই করতে হয়। ২০১৫-তে ও বিসিসিআইকে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিল। আবার এখন এত খারাপ পরিস্থিতিতে আইসিসিকে (International Cricket Council) ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তবে, ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি, এরম একজন লোক আর আইসিসির সঙ্গে যুক্ত নয়, সেটা জেনে।” শ্রীনি বলছেন, “আমার ব্যক্তিগত মতামত শশাঙ্ক ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি করেছে। আমার মনে হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ ওর পদত্যাগে খুশিই হবে। ও আর্থিকভাবে আমাদের ক্ষতি করেছে। ও আইসিসিতে ভারতীয় বোর্ডের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। বহু ক্ষতি করেছে।” শ্রীনিবাসনের দাবি, শশাঙ্ক মনোহর একজন সুযোগ-সন্ধানী। প্রথমে ভারতীয় বোর্ডকে ব্যবহার করে আইসিসিতে গেল, তারপর আইসিসিকে ব্যবহার করে ভারতীয় বোর্ডকেই আক্রমণ করেছে।
The post ‘ভারতীয় ক্রিকেটের বহু ক্ষতি করে দিয়েছেন’, শশাঙ্ক মনোহরকে বেনজির তোপ শ্রীনিবাসনের appeared first on Sangbad Pratidin.