গৌতম ব্রহ্ম: দু’দিন আগে আলিপুরের ছ’তলা পার্কিং লটের উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছে পিডব্লুডি। হিডকোও ভাল কাজ করছে। ওদের পুরস্কৃত করা উচিত।” এবার ভাল কাজ করলে সেই পুরস্কারের ভাবনা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়ও। দ্রুত কাজ শেষ করতে পারলে কাজের উপর নজরদারি চালানো ‘আবাস বন্ধু’, স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীকে পুরস্কার দেওয়ার কথা জানাল নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, সময়ের মধ্যে আবাস যোজনার কাজ শেষ করতে না পারলে কেন্দ্র রাজ্য় সরকারকে ব্যর্থ, অপদার্থ প্রমাণ করবে। তাই সময়ের মধ্য়ে কাজ শেষ করতেই হবে। অন্যথায় শেষের কিস্তির টাকা ফেরত চলে যাবে। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, অনুমোদন দেওয়ার দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জানালা পর্যন্ত গাঁথনি করে ফেলতে হবে। তার আরও ৩৫ দিনের মধ্যে লিন্টেল পর্যন্ত গাঁথনি সেরে ফেলতে হবে উপভোক্তাদের। এর ১৫ দিন পর বাড়ির কাজ দেখতে ভেরিফিকেশনের জন্য যাবে সরকারি টিম। কিন্তু টাকা না আসায় কোনও কাজই সময় মেনে এগোচ্ছে না। ফলে কীভাবে ৩১ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হবে তাই ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: অবশেষে উঠল বয়কট! ‘আদালতের সন্মান নষ্ট করবেন না’, আরজি বিচারপতি মান্থার]
কাজ কীভাবে এগোচ্ছে তা দেখার জন্য আবাস বন্ধুরা পরিদর্শন করবে। প্রয়োজনে সহায়তা করবে উপভোক্তাদের। এই সহযোগীর তালিকায় আবাস বন্ধুর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও যুক্ত করা হয়েছে। ভারচুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজ যত দ্রুত শেষ করা যাবে সেই অনুযায়ী পুরস্কার দেওয়া হবে। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কাজে গতি আনতে ও উৎসাহ দিতেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্য়ের। নবান্ন সূত্রে খবর, আবাস বন্ধু বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার হিসেবে কোনও স্মারক বা নগদ দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই আবাসের কাজের হাল-হকিকত দেখে গিয়েছে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদহ জেলার আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার। শীঘ্রই সেবিষয়ে একটি রিপোর্ট পাঠাবেন তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, আবাসের কাজ দেখতে ফের এরাজ্যে কেন্দ্রের টিম আসতে পারে।