গৌতম ব্রহ্ম: তীব্র গরমে এবার তুলনামূলক বেশ কিছুটা আগেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ে যায়। দীর্ঘ বিরতি শেষে লোকসভা নির্বাচনের পর সোমবার থেকে খোলে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল। তবে বেশ কিছু স্কুলে আজও পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি। কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় সেখানে স্কুল খোলা সম্ভব হয়নি। আর তার পরই নড়েচড়ে বসল নবান্ন। স্কুলে রাখা যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force), এই মর্মে বিভিন্ন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং স্কুল শিক্ষাদপ্তরকে নির্দেশ নবান্নের। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য বিকল্প বন্দোবস্ত করতে হবে বলেই জানানো হয়েছে।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরেও স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী ও অয়ন পোদ্দারও। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। অবিলম্বে এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানান তাঁরা। আগামী বুধবার বিষয়টি শুনবেন বলে জানান প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ‘প্রচণ্ড জোরে দুটো আওয়াজ পেলাম’, পাকিস্তান হারতেই নিউ ইয়র্ক পুলিশকে বার্তা দিল্লি পুলিশের]
তীব্র দাবদাহ পরিস্থিতি ও লোকসভা নির্বাচনের জন্য গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল এ বছর। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল সরকার অধীনস্থ সব স্তরের স্কুলে গরমের ছুটি। যা শেষে সোমবার থেকে ক্লাসরুমে ফিরেছে পড়ুয়ারা। গরমের ছুটির মধ্যেই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠনপাঠন কিছুটা চালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল শহরের বেশ কিছু স্কুল। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় মাস পর এবার নিয়মিত পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরে পাওয়ায় খুশি ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই।