গৌতম ব্রহ্ম: বঙ্গভবনের সিসিটিভি কাণ্ডে উষ্মা প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রকে পত্রাঘাত করতে চলেছে নবান্ন। সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রককে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য।
গত সোমবার মুর্শিদাবাদের সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) তোপ দেগে জানিয়ে ছিলেন, দিল্লির বঙ্গভবনে ঢুকে গুজরাট পুলিশ সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে ছিল দিল্লি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গভবন রাজ্যের সম্পত্তি। বিনা অনুমতিতে কেউ গেলে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে। অনুমতি না নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে চাইতে পারে। কিন্তু অনুমতি না দেওয়ার পর বেআইনিভাবে দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাট পুলিশ (Gujarat Police) বঙ্গভবনে ঢুকেছে। সব সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায় তাদের বলি, বুলডোজারের পরিবর্তে বুলডোজার নয়। তাদের ক্লোজার হবে।” রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে পদক্ষেপ করার কথাও বলেন মমতা। তারপরই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন মুখ্যসচিব।
[আরও পড়ুন: ‘আর বিরোধ নয়, শুধুই সমন্বয়’, উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সুর রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর]
দিল্লির বঙ্গভবন থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। নবান্নের এক আধিকারিক জানান, তল্লাশি চালানোর সময় গুজরাট পুলিশ বঙ্গভবন (Banga Bhawan) থেকে হার্ডডিস্ক-সহ বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে। অথচ, সিজার লিস্টে তার উল্লেখ নেই। এ নিয়েই দিল্লিকে এবার চিঠি লিখতে চলেছে নবান্ন। নবান্নের কর্তাদের মতে, কাউকে কিছু না বলে, রাতের অন্ধকারে ওই অপারেশন চালিয়েছিল গুজরাট পুলিশ। সঙ্গে ছিল অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশও। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘনেরই শামিল।
উল্লেখ্য, দিল্লির বঙ্গভবনে রাজ্যপাল, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির মতো ভিভিআইপিরা ওঠেন। এমন জায়গায় ভিনরাজ্যের পুলিশ যদি কাউকে কিছু না বলেকয়ে ঢুকে সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়, তাহলে সেখানে নিরাপত্তার কী থাকে?