সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রাজ্য জুড়ে কাজ চলছে ‘জল জীবন প্রকল্পে’র। প্রতিটি জেলাকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছে নবান্ন। লক্ষ্য, রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। এই প্রকল্পে সব থেকে ভাল কাজ হয়েছে নদিয়ায় (Nadia)। রাজ্যের মধ্যে প্রথমে রয়েছে এই জেলা। শুক্রবার কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) রবীন্দ্রভবনে বিশ্ব জল দিবসের অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন নদিয়া জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি। দ্রুতই একশো শতাংশ নলবাহিত পরিশুদ্ধ পানীয় জল বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই বছরের মধ্যে রাজ্যে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌছনোর লক্ষ্য সরকারের। এটি কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্প। ফলে অর্ধেক টাকা দেয় রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাত ধরে সূচিত হয়েছিল ‘জল জীবন মিশন’। ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি বাড়িতে জল পৌছে দেওয়া। বলা ভালো, লোকসভা ভোটের আগে গ্রামের সমস্ত পরিবারে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে মাঝে জানা যায়, এই প্রকল্পে দেশের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। তখন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, দেরিতে এখানে কাজ শুরু হয়েছে বলে পিছিয়ে রাজ্য। এবার রাজ্যের মধ্যে এই প্রকল্পে প্রথম স্থান দখল করল নদিয়া।
[আরও পড়ুন : টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, রাতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে বেরল ইডি]
শুক্রবার বিশ্ব জল দিবসকে সামনে রেখে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নদিয়া জেলা প্রশাসন। সেখানে ২৪ জনকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। যাদের কেউ স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে জল নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ান। কেউ আবার পানীয় জল পরীক্ষা করে দেখান নলবাহিত পানীয় জল কতটা সুরক্ষিত। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষিকা, ছাত্রী থেকে গ্রামের গৃহবধূ।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। তিনি বলেন, “রাজ্যে জল জীবন প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে রাজ্যে সব জেলার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে নদিয়া জেলা।”
[আরও পড়ুন : অভিষেকের সভা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, গুরুতর জখম হয়ে ভেন্টিলেশনে তৃণমূল কর্মী]
এদিন অনুষ্ঠানে একটি নাটকেরও আয়োজন করা হয়। বার্তা দেওয়া হয় জল সংরক্ষণের। জল সংরক্ষণের বার্তা লেখা বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় বিশ্ব জল দিবসের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের আধিকারিক সুস্মিত বাগচী, সুদীপ ঘোষ, স্বামীদ্বীপ ভট্টাচার্য।