সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪০ দিন নিখোঁজ থাকার পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটায়। স্ত্রীই খুন করেছে যুবককে, এমনটাই দাবি মৃতের মেয়ের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আজিজুল মণ্ডল। নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী হামিদা বিবি ও মেয়েদের নিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি। সূত্রে খবর, বাড়ির একটি ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন আজিজুল। সেটাই তাঁর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। অভিযোগ, ভাড়াটিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে হামিদা। তা জানাজানি হতে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় প্রবল দাম্পত্যকলহ। বারবার স্ত্রীকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন আজিজুল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: বুথ কমিটি নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট! ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্য়বেক্ষক সুনীল বনশল]
অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় স্বামীর উপর অত্যাচার করত হামিদা। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মারধরও করা হয়েছে আজিজুল। এসবের মাঝে ৪০ দিন আগে আচমকা উধাও হয়ে যায় আজিজুল। সূত্রের খবর, মেজো মেয়ের সামনেই নাকি প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে খুন করে হামিদা। প্রমাণ লোপাটে সরিয়ে ফেলে দেহ। গোটা বিষয়টাই জানত মেজো মেয়ে। মৃতের বড় মেয়ে জানান, বাপের বাড়ি গিয়ে মেজ বোনের কাছে তিনি জানতে পারেন, বাবাকে খুন করেছে। তারপরই তিনি হরিণঘাটা থানায় যান। মঙ্গলবার হরিণঘাটা থানার পুলিশের সহযোগিতায় মৃতের মেজো মেয়ের দেখানো জায়গায় মাটি খোঁড়া হয়। যদিও সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। তখনই পুলিশ হামিদাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকেরা বাড়িতে ঢুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
পরে সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় আজিজুলের দেহ। মঙ্গলবার রাতে হরিণঘাটা থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। রাতেই হরিণঘাটা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে হামিদা বিবিকে। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে নেমে খুনের প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ।