বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শ্বশুরবাড়ি থেকে আচমকা মেয়েকে নিয়ে উধাও বধূ। ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও হদিশ মেলেনি তাঁর। কোথায় গেলেন তিনি? ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ায় (Nadia)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই গৃহবধূর নাম রুনুপা শেখ। তাঁর মেয়ে শেখ সোহাগী। দুজনের বয়স যথাক্রমে ২৭ ও ৬ বছর। নদিয়ার চাকদহ থানার দেউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুড়ুইমারি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ২৪ এপ্রিল নিজের নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রুনুপা। এরপর থেকে আর হদিশ মেলেনি বধূর। বধূর স্বামী শেখ মামুদ তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু কোথাও তিনি তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ের সন্ধান পাননি। শেষ পর্যন্ত তিনি চাকদহ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তার স্ত্রী ও নাবালিকা মেয়ে কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ব্যান্ডেলে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা দুই মহিলার, জীবন বাজি রেখে প্রাণ বাঁচালেন RPF, দেখুন ভিডিও]
গৃহবধূর স্বামী শেখ মামুদ বলেন, “আমার স্ত্রী আমাকে না জানিয়ে পাড়ার লোকজনের কাছে ধারদেনা করত। আমার এক কাকার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা শোধ দেওয়া হয়নি।” শেখ মামুদই জানিয়েছেন, এক পুরুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন তাঁর স্ত্রী। জিজ্ঞাসা করাতে সে জানিয়েছিল, ভাগ্নের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু পরে জানতে পেরেছিলেন, সেই পুরুষ তাঁর ভাগ্নে নয়। তা নিয়ে যুগলের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছিল। এরপরই বাড়িতে কাউকে না বলে আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বধূ। অনুমান ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল যুবক।
মহিলার স্বামীর কথায়, “হয়ত কারও সঙ্গে চলে গিয়েছেন। বা দুর্ঘটনাও হতে পারে। তাই তাদের খোঁজ করা প্রয়োজন। আমি কোথাও খোঁজ করে না পেয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেছি। পুলিশ যদি তাদের দুজনকে খুঁজে বার করে দিতে পারে, তাহলে খুব ভাল হয়।” যদিও পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে নিজেই নিখোঁজ হয়েছেন ওই গৃহবধূ। পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছে।