ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, অশান্তির আশঙ্কা প্রবল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে নাগাল্যান্ডে (Nagaland) তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সফরসূচি বাতিল করা হল। সোমবারই তাঁদের দিল্লি থেকে নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার রাতে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে এখানেই। সেখানে চার সাংসদ-সহ ৫ জন প্রতিনিধির যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সফর বাতিল হল। বদলে কলকাতায় বসেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন চার সাংসদ। এই মর্মেই শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা।
কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে নাগাল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের (TMC) ৫ জনের প্রতিনিধিদলের। কিন্তু বিমান ধরার শেষ মুহূর্তে খবর এসেছে, নাগাল্যান্ডে ১৪৪ ধারা ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। সবরকম গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার। তৃণমূলের অভিযোগ, এনিয়ে অসম (Assam) সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই বোর্ডিংয়ের মুখেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সংসদে জানিয়ে দেয়, নাগাল্যান্ড যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাওয়ার এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। পরবর্তী সময়ে ফের সফরসূচি স্থির হতে পারে।
[আরও পড়ুন: Nagaland Firing: সংসদে বিরোধীদের সাঁড়াশি চাপ, নাগাল্যান্ড ইস্যুতে দুই কক্ষে বিবৃতি দেবেন অমিত শাহ]
শনিবার রাতে নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিংয়ে সন্ত্রাসদমন অভিযান চলাকালীন সেনার প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের গুলিতে প্রাণহানি হয় ১৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীর। রবিবারই এনিয়ে টুইটে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সোমবার তিনি দলের ৫ প্রতিনিধিকে ওটিংয়ের ওই সর্বহারা পরিবারগুলির কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো এদিন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় , শান্তনু সেন, সুস্মিতা দেব, অপরূপা পোদ্দাররা রওনা হচ্ছিলেন। সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবেরও। কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লি হয়ে নাগাল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষমুহূর্তে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরে সফর বাতিল হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারতে আসছেন পুতিন]
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আশঙ্কা, এই মুহূর্তে গোটা নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতিই উত্তপ্ত। মন জেলার পাশাপাশি তুয়েনসাং জেলাতেও ইতিমধ্যে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। তাই শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতায় বসেই এই চারজন ওটিংয়ের খবরাখবর নেবেন। সোমবার বিকেলে এখান থেকেই তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করে নাগাল্যান্ড নিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন।