অরূপ বসাক, মালবাজার: উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের হিসাবে বেনিয়মের অভিযোগ। আর তার জেরে ক্লোজড নাগরাকাটা (Nagrakata) থানার ওসি সঞ্জু বর্মন। উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ কম দেখানোর অভিযোগ উঠলেও পুলিশ সুপার এই বিষয়ে কুলুপ এঁটেছেন।
গত ১০ অক্টোবর অসম থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি ছোট গাড়িতে সোনার বিস্কুট পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাগরকাটা থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। নাগরাকাটা বাতাবাড়ি মোড়ে একটি গাড়িকে আটকানো হয়। যার নম্বর ছিল এএস০১ডিইউ৩১৮৯। গাড়িটি অসমের গুয়াহাটি থেকে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া তেলিপাড়া সেবক রোড হয়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল। সেই গাড়িতে ৮.২৯৭ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। যার বাজারদর চার কোটি টাকা। গ্রেপ্তার করা হয় মহারাস্ট্রের সন্তোষ গাজাজে (২১),কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দা কৃষ্ণ মজুমদার (৪৬)ও মালিগাও অসমের বাসিন্দা মনতোষ বিশ্বাস (৩৫)। সেই ছিল গাড়ির চালক। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪১১, ৪১৩, ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
[আরও পড়ুন: জুয়ার ঠেকে পুলিশের হানা, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু যুবকের, স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল গুসকরা]
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের বড় সাফল্য বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করা হয়। পুলিশ মহলে ওসি সঞ্জু বর্মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোনা সরিয়ে রেখেছিলেন নাগরাকাটার তৎকালীন ওসি। সেই কাণ্ডে STF তদন্তে নামে। জানতে পারে বাজেয়াপ্ত সোনার পরিমাণ কম দেখিয়েছেন ওসি। পুলিশ সুপারকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সঞ্জু বর্মনকে নাগরাকাটা থানা থেকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ফোনে জানান সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নাগরাকাটা থানার ওসি সঞ্জু বর্মনকে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তবে ঠিক কোন বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, “এটি পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”